পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সিগুলির দিকে বার বারই অভিযোগের আঙুল উঠেছে নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারি নিয়ে। তবে বিশেষ ছাতার তলায় আসার পরে বহু তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বের অপরাধ মকুব হয়ে গেছে। লোকসভা ভোট আসতে না আসতেই দলগুলি ‘দুনীর্তি’কে হাতিয়ার করে একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। দেশের বিরোধী দলগুলি বিজেপি সরকারকে একনায়কতান্ত্রিক, গণতন্ত্র ধ্বংসকারী, স্বৈরতান্ত্রিক বলে আখ্যা দিয়েছে, অপরদিকে বিজেপি কংগ্রেস, তৃণমূলসহ সব বিরোধীদের ওয়াশিং মেশিন তকমা দিয়েছে। ২০১৪ সালে দিল্লির মসনদে বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ইংনিস শুরু করেন। এই সময় দুর্নীতির মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে থাকা মোট ২৫ জন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রী বিজেপি বা বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএতে যোগ দিয়েছেন।
এমনকি এই যোগদানের বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত চলাকালীন ঘটেছে। দেশের বহুল প্রচারিত একটি সংবাদমাধ্যমের এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫ জনের মধ্যে ২৩ জন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন। তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ২০ জনের তদন্ত ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে।
উদাহরণসরূপ বলা যেতে পারে, নারদ স্টিং অপারেশনের কথা। গোটা দেশকে কাঁপিয়ে রেখেছিল। ২০১৬ সালে ভোটের ঠিক আগে আগেই পর্দা ফাঁস হয়। অন্যান্যদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারির নাম জড়িয়েছিল এই কেলেঙ্কারিতে। সেই সময় শুভেন্দু ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ। ২০২০ সালে সেই শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তবে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। অন্যদিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং প্রাক্তন মারাঠা মুখ্যমন্ত্রী অশোক চ্যাবনের মামলাতেও ফুলস্টপ পড়েছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তিন নেতাই পশ্চিমবঙ্গের শোভন চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং তাপস রায়। তাঁদের মধ্যে শেষ দু’জন এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন।
কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভনের বিরুদ্ধেও রয়েছে নারদ মামলা। ২০১৮ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন ২০২১ সালের মে মাসে মোদির দল ছাড়ার পরেই গ্রেফতার হয়েছিলেন নারদ মামলায়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বরাহনগরের তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বৌবাজারের বাড়িতে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। পরে তার বিজেপিতে যোগ দেন, এবছর পদ্ম চিহ্নে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।
আর্থিক দুর্নীতির মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের মুখে পড়া বিজেপিতে বা এনডিএতে যোগদানকারী বিরোধী নেতা-নেত্রীরা হলেন অজিত পাওয়ার (এনসিপি), প্রফুল্ল প্যাটেল (এনসিপি), প্রতাপ সরনায়েক (শিবসেনা), হিমন্ত বিশ্বশর্মা (কংগ্রেস), হাসান মুশরিফ (এনসিপি), ভাবনা গাওলি (শিবসেনা), যামিনী এবং যশবন্ত যাদব (শিবসেনা), সিএম রমেশ (টিডিপি), রনিন্দর সিংহ (কংগ্রেস, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরের পুত্র), সঞ্জয় শেঠ (এসপি), কে গীতা (ওয়াইএসআরসিপি), ছগন ভুজবল (এনসিপি), কৃপাশঙ্কর সিংহ (কংগ্রেস), দিগম্বর কামথ (কংগ্রেস), অশোক চহ্বাণ (কংগ্রেস), নবীন জিন্দল (কংগ্রেস), অর্চনা পাটিল (কংগ্রেস), গীতা কোড়া (কংগ্রেস), বাবা সিদ্দিকি (কংগ্রেস), জ্যোতি মির্ধা (কংগ্রেস) এবং সুজনা চৌধরি (টিডিপি)। প্রসঙ্গত, পদ্ম চিহ্নে যোগ দিলেই মামলা বন্ধ, গ্রেফতারিতে ছাড় একটি প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে।
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.21-PM.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM-1.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM.jpeg)