বিশেষ প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবারের তিনটি উত্তরপূর্ব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ত্রিপুরায় ১০টি আসন, মেঘালয়ে ১৫টি আসন এবং নাগাল্যান্ডে ১৯টি আসনে জয়ের ব্যবধান ছিল ১০০০ ভোটেরও কম। উত্তরপূর্বের তিনটি রাজ্যেই মোট বিধাসভা আসন হল ৬০।
ত্রিপুরা
এই রাজ্যের যুবরাজনগর কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথ বিজেপি প্রার্থী পলিমা দেবনাথকে হারিয়েছেন মাত্র ২৯৬ ভোটে। এটাই রাজ্যের কোনও কেন্দ্রে জয়ের সবচেয়ে কম ব্যবধান। রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতেছেন টাকারজেলা কেন্দ্রে তিপরা মোথা প্রার্থী বিশ্বজিৎ ফলাই। তিনি আইপিএফটি প্রার্থী বিধান দেববর্মাকে ৩২,৪৫৫ ভোটে হারিয়েছেন।
ত্রিপুরার ১০টি আসনে হার জিতের ব্যবধান ছিল ১০০০ ভোটেরও কম। রাজ্যে ফের একবার ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপির প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান ২০১৮ সালের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে। ২০১৮ সালে বিজেপি বিজেছিল ৩৬টি আসনে এবং প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান ছিল গড়ে ৪, ৬০৬ ভোট। বিজেপি ২০১৮ সালে এই রাজ্যে ভোট পেয়েছিল মোট ৪৩.৫০ শতাংশ। ২০২৩ সালে বিজেপির আসন সংখ্যা কমে দাড়িয়েছে ৩২। প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান কমে হয়েছে গড়ে ৩৪৫৮ ভোট। বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার হল ২০২৩ সালে ৩৮.৯৭ শতাংশ।
নাগাল্যান্ড
এই রাজ্যে পশ্চিমের অথগমি বিধানসভা কেন্দ্রে এনডিপিপি প্রার্থী সাল হতুনু ক্রুসে সবচেয়ে কম ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তার নিকটতম নির্দল প্রার্থী কেনেইসাকো লাখরোকে। যে দু’জন মহিলা প্রার্থী প্রথমবার জয়ী হয়েছেন তার মধ্যে একজন হলেন ত্রু«সে। সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন ঘাসপানি-১ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এম জ্যাকর ঝিমোমি। তিনি হারিয়েছেন নির্দল প্রার্থী ভি পুলিকা আওমিকে ২০০৯৬ ভোটে। নাগাল্যান্ডে ১৯টি আসনে হারজিতের ফয়সলা হয়েছে ১০০০ এরও কম ভোটে।
মেঘালয়
উত্তরপূর্বের তিনটি রাজ্যের মধ্যে মেঘালয়ে জয় পরাজয়ের ব্যবধান সবচেয়ে কম। এই রাজ্যে ১৫টি আসনে প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ১০০০-এরও কম ভোটে। সবচেয়ে কম ভোটে এই রাজ্য্যে জয় পরাজয়ের মীমাংসা হয়েছে রাজাবালা কেন্দ্রে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের মিজানুর রহমান কাজী এনপিপি প্রার্থী মুহাম্মদ আধুস সালেহকে মাত্র ১০ ভোটে হারিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয় পেয়েছেন মাওলাই কেন্দ্রে। সেখানে ভয়েস অব দ্য পিপলস পার্টির প্রার্থী ব্রাইটস্টার ওয়ের মারবানিয়ং হারিয়েছেন এনপিপি প্রার্থী তেইবোরলং পাথাওকে ১৫,৬৮৪ ভোটে।