পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: ২০১৩-র ২৭ আগস্টের দাঙ্গার স্মৃতি এখনও ভোলেনি কাওয়াল গ্রাম সহ মুজফফরনগরের মানুষ। দাঙ্গার আগুনে সেদিন মৃত্যু হয়েছিল ৬২ জনের। ঘরছাড়া হয়েছিলেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ২৮ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে কয়েক বছর আগে। প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়েছে ১৫ জন। বাকি ১২ জনকে মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের একটি বিশেষ আদালত ১০ হাজার টাকার জরিমানা ও ২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। এই ১২ জন অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির খাটাউলির বিধায়ক বিক্রম সাইনি। আদালতের সাজা ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনি। সূত্রের খবর, দাঙ্গা মামলায় স্বস্তি পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন বিক্রম।
এই মামলায় অভিযুক্ত ২৮ জনের বিরুদ্ধে আইপিসি’র ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭, ৩৩৬, ৫০৪, ৩৫৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। ২০১৩ সাল থেকে দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই মামলার রায় ঘোষণা নিয়ে আশাবাদী ছিলেন অনেকেই। কিন্তু সাজা ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপি বিধায়কের জামিন পাওয়ার ঘটনায় হতাশ হয়েছেন পীড়িতদের পরিজনরা। দাঙ্গার মত ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িত থাকার পরও হাই প্রোফাইল অপরাধীকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি অন্যায় বলে মনে করছেন অনেকেই।
যোগী সরকারের সুপারিশ মেনে আগেই মুজফফরনগর দাঙ্গা মামলায় রেহাই দেওয়া হয়েছে অনেককে। এদের মধ্যে রয়েছেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধ্বী প্রাচী, বিজেপি নেতা সুরেশ রানা, সঙ্গীত সোম, উমেশ মালিক, ভারতেন্দ্র সিংহ। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ঘৃনাভাষণ ও দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। এখন নতুন করে সাজা ঘোষণার পরও বিজেপি বিধায়কের জামিন পাওয়ার ঘটনায় আশাহত অনেকই।