পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চণ্ডীগড়ের মেয়র (Chandigarh Row) নিবার্চনকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court) । শীর্ষ আদালত তীব্র ধিক্কার জানিয়ে বলে, নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে করা মামলায় গণতন্ত্রকে খুন হতে দিতে পারে না আদালত। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার কথা ছিল সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি। শুনানির আগেই রবিবার সন্ধ্যায় চণ্ডীগড়ের নব নির্বাচিত মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপি নেতা মনোজ সোনকার (BJP leader Manoj Sonkar ।
গত ৩০ জানুয়ারি হওয়া নির্বাচনে মনোজ ভোটে জিতেছিলেন, আম আদমি পার্টির কুলদীপ সিংকে পরাজিত করে। নির্বাচনে বিজেপি ১৬টি ভোট পায়, কংগ্রেস এবং আপের যৌথ প্রার্থী কুলদীপ সিং ১২টি ভোট পান। ৮টি ভোট বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় আপ-কংগ্রেস জোট। সুপ্রিম কোর্ট এই মেয়র নির্বাচনকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে। তীব্র চাপানউতোরের মধ্যে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মনোজ সোনকার।
এদিকে রবিবারই চণ্ডীগড় পুরনিগমের তিনজন আপ কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন। ৩৫-সদস্যের চণ্ডীগড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে বিজেপির ১৪ জন কাউন্সিলর ছিল, এদিনের পর সেই সংখ্যা হল ১৭। তাদের একজন শিরোমণি আকালি দলের কাউন্সিলরের সমর্থনও রয়েছে এবং বিজেপির চণ্ডীগড়ের সাংসদ কিরণ খেরেরও পদাধিকারবলে ভোটাধিকার রয়েছে যা বিজেপির ম্যাজিক ফিগার ১৯-এ নিয়ে আসে। আপের ১০ জন কাউন্সিলর রয়েছে, তাদের মধ্যে মিত্র কংগ্রেসের ৭ জন। ফলে পুনর্নির্বাচনে বিজেপি জয় নিশ্চিত বলেই ধরে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
http://‘গণতন্ত্র – কে হত্যা করা হয়েছে’, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচন নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করল Supreme Court
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলা উঠেছিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পাদ্রিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তীব্র ভর্ৎসনা করে বলেন, গণহন্ত্রের হত্যা করতে দিতে পারি না। দেশের বড় স্থিতিশীল শক্তি হচ্ছে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশুদ্ধতা, এখানে কী হচ্ছে? ৭ ফেব্রুয়ারি চণ্ডীগড় পুরসভা বাজেট পেশ হওয়ার কথা ছিল। সেই বাজেটও পেশ স্থগিত করে দেয় বেঞ্চ। বেঞ্চের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজেট পেশ হবে না।