পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ প্রার্থী হিসাবে নিজের আইনি অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচয় দিলেন বিজেপি প্রার্থী। এমনিতেই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ঘৃণা ভাষনের প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দলের বিভিন্ন শীর্ষ নেতৃত্ব। তারই প্রতিফলন দেখা গেল ভোটের দিন বিজেপি প্রার্থীর ভূমিকায়। সোমবার দেশ জুড়ে চলছে চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ। চলছে হায়দরাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ।
এ দিন সামাজিক মাধ্যমে এই লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হায়দরাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কমপেল্লা মাধবী লতা এক ভোটকেন্দ্রের অন্দরে তিনি বোরখা পরা মুসলিম মহিলাদের মুখ দেখতে চাইছেন। তাদের বোরখা সরিয়ে মুখ দেখাতে বলছেন। যাতে, তিনি ওই ভোটার পরিচয়পত্রে থাকা ছবির সঙ্গে তাদের মুখ মিলিয়ে দেখতে পারেন। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে অভিযুক্ত বিজেপি প্রার্থী তিনি বলেন, “আমি একজন প্রার্থী। আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থীর ভোটারদের ফেসমাস্ক সরিয়ে তাদের পরিচয় যাচাই করার অধিকার রয়েছে। আমি পুরুষ নই, আমি একজন মহিলা। অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে আমি তাদের মুখ দেখাতে অনুরোধ করেছি। যদি কেউ এই ঘটনাকে বড় করে দেখাতে চান, তাহলে বুঝতে হবে, ওরা ভয় পেয়েছে।” একইসঙ্গে মাধবী লতা অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি রয়েছে। অনেক প্রবীন ভোটারদের নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। এএনআই-কে তিনি বলেন, “এখানকার পুলিশ কর্মীরা যথেষ্ট সক্রিয় নয়। তারা কিছুই পরীক্ষা করছে না। প্রবীণ নাগরিকরা ভোট দিতে আসছেন। কিন্তু, তাঁদের নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।”
অন্যদিকে জেলা নির্বাচন আধিকারিক রোনাল্ড রস জানিয়েছেন, পরিচয় যাচাই করার জন্য কোনও ভোটারের বোরখা সরানোর অধিকার নেই কোনও প্রার্থীর। যদি তাঁর কাউকে নিয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে প্রার্থী ওই ভোটারের পরিচয় যাচাই করার জন্য পোলিং অফিসারকে বলতে পারেন। পোলিং অফিসার তাঁর পরিচয় যাচাই করতে পারেন। কাজেই বিজেপি প্রার্থী বেআইনি কাজ করেছেন। এই কারণেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অধীনে মালাকপেট থানায় মাধবী লতার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে চতুর্থ দফার এই নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম হায়দরাবাদ। এই কেন্দ্রে চার বারের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে মাধবী লতা। প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই মাধবীলতা একের পর এঁকো বিতর্কে জড়িয়েছেন। প্রচার মিছিল থেকে এক মসজিদ লক্ষ্য করে তীর ছোড়ার ভঙ্গী করেছিলেন তিনি।