পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ওড়িশার শাসক দল বিজেডি ও কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির একসঙ্গে জোট করার কথা নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে সেই সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে বিজেপি জানিয়ে দিল ওড়িশায় একাই লড়বে বিজেপি। একলা চলার নীতি নিয়েছে গেরুয়া শিবির, এমনটাই জানিয়েছেন ওড়িশায় নিজেপির রাজ্য সভাপতি মনমোহন সামাল। রাজ্যের ১৪৭টি বিধানসভা কেন্দ্র ও ২১টি লোকসভা কেন্দ্রের সবেতেই প্রার্থী দেবে বিজেপি। ওড়িশায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনমোহন সামাল এমনটাই দাবি করেছেন। ওড়িশায় এবছর জুনে সেরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। শুক্রবারই দিল্লি থেকে ফিরেছেন সামাল ও ওড়িশার বিজেপি নেতৃত্বের অন্য নেতারা। তার পরেই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন নিজেপির রাজ্য সভাপতি মনমোহন সামাল। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লি গিয়েছিলেন আসন্ন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে। সামাল জানান, সেই বৈঠকে বিজেডির সঙ্গে কোনও রকম জোট গড়া নিয়ে তাদের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৯ পর্যন্ত এই দুই শিবিরের জোট ছিল। সেসময় অবশ্য ওড়িশায় শক্তিশালী ছিল কংগ্রেস। তুলনায় দুর্বল ছিল বিজেপি। শোনা যাচ্ছে, ভুবনেশ্বর ও পুরী এই দুই লোকসভা কেন্দ্র নিয়েই নাকি মতানৈক্য। সেখানে প্রার্থী দিতে চায় দুই দলই। আর এই মতানৈক্যেই জোটের সম্ভাবনায় ফাটল ধরে যায়। জানা গেছে, বিজেপি নাকি ওড়িশার ২১টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৪টিতেই প্রার্থী দিতে চেয়েছিল। যা মেনে নেয়নি নবীন পট্টনায়কের দল। অন্যদিকে ১৪৭ আসনের বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০০টিতেই প্রার্থী দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল বিজেডি। যা পদ্ম শিবির মেনে নেয়নি। ফলে শেষপর্যন্ত সম্ভাবনা তৈরি হয়েও তা ফলপ্রসূ হল না।
১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল অবধি এনডিএ জোটেই ছিল বিজেডি। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে, ১৯৯০ এ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন নবীন পট্টনায়ক। ২০০৮ সালে কান্দামাল দাঙ্গার পরই জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নবীন পট্টনায়ক।