কৌশিক সালুই বীরভূম:- করোনা মহামারী পরিস্থিতির সময় প্রায় দু’বছর পঠন পাঠন কার্যত বন্ধ ছিল। স্কুল ছুট রুখতে প্রথা বহির্ভূত পাঠদানের উদ্যোগ বীরভূম জেলা প্রশাসনের। জেলা জুড়ে সহায়ক পাঠশালা গড়ে তোলা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে এই উদ্যোগ রূপায়ণ হবে বলে জানা গিয়েছে।
বীরভূম জেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি বা যেখানে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের বসবাস সেখানেই সহায়ক পাঠশালা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ডেউচা পচামী কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া সহায়ক পাঠশালা সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে বর্তমানে। যা প্রায় ছয় মাস আগে শুরু হয়েছিল। স্কুলের পঠন পাঠনের সময় বাদ দিয়ে সকালে বা বিকালে বা রাত্রিতে এই সহায়ক পাঠশালায় পাঠদান করা হবে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বা স্থানীয় ব্যক্তি, যুবক সংশ্লিষ্ট এলাকার চাহিদার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করে প্রথা বহির্ভূত এই পাঠদানের কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে জেলা জুড়ে।
প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত এই সহায়ক পাঠশালায় পড়াশোনা করানো হবে। বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ড: প্রলয় নায়েক বলেন,’যেখানে এই সহায়ক পাঠশালা গড়ে তোলা হবে সেখানের মানুষজনের চাহিদা ও জীবন যাপনের মানের উপর নির্ভর করে শিক্ষকরা পাঠদান করাবেন”। বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় বলেন,”করনা অতিমারি পরিস্থিতির সময় বিশেষ বিশেষ এলাকার পড়ুয়ারা পড়াশোনা থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল। সেই সমস্ত এলাকায় সহায়ক পাঠশালা তৈরি করে সেই সমস্ত ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা হবে”।