পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে আজ পর্যন্ত কেউই যেটা করতে পারেননি, সেটাই করে দেখালেন সাকিবুল গনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন বিহারের এই তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটার। কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রঞ্জি ট্রফিতে বৃহস্পতিবার বিহারের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পা রাখেন গনি। মিজোরামের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি।আজ ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ৩৪১ রান করে ইতিহাস গড়লেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি এতদিন ছিল অজয় রোহেরার। ২০১৮-১৯ মরশুমে রঞ্জি ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের হয়ে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ২৬৭ রান করেছিলেন রোহেরার। এদিন সেই মধ্য প্রদেশের ব্যাটার রোহেরারকে পিছনে ফেলে দিলেন গনি। তার ৪০৫ বলের ৩৪১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫৬ চার ও দুটি ছক্কায়। যে ম্যাচগুলির বাউন্ডারি সংখ্যার হিসাব রাখা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে অভিষেকে বাউন্ডারির বিশ্বরেকর্ডও গড়লেন গনি। আগের রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার এরিক মার্ক্সের। তিনি ৩৯টি বাউন্ডারি মেরেছিলেন।
এ ম্যাচে বিহার যখন প্রথম ইনিংসে ৭১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, তখন ক্রিজে আসেন গনি। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিনই করেন সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। তার সঙ্গে দক্ষতার সঙ্গে ব্যাট করতে দেখা যায় বাবুল কুমারকে।দু’জনের জুটিতে ৩২৫ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে বিহার। ম্যাচের প্রথমদিনে গনির ঝুলিতে ছিল ১৩৬ ও বাবুল ১২৩ রান। শুক্রবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে আরও মারমুখি মেজাজে খেলতে শুরু করেন গনি। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন বাবুলও। ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে গনি আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে থাকেন। তাদের ব্যাটে প্রথমবার কোনো অভিষিক্তকে নিয়ে প্রথম পাঁচশ ছোঁয়া জুটি দেখে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট।
যদিও সামান্যের জন্য আরও একটি বিশ্ব রেকর্ড ছোঁয়া হয়নি এই জুটির। ৩৪১ রানের ইনিংসে খেলে গনি আউট হতেই ভেঙে যায় তাদের ৫৩৮ রানের জুটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চতুর্থ উইকেটে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। তবে রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয়। এর আগে ১৯৪৬-৪৭ মরশুমে রঞ্জিতে চতুর্থ উইকেটে ৫৭৭ রানের জুটি গড়েছিলেন বিজয় হাজারে ও গুল মুহাম্মদ। ৫ উইকেটে ৬৮৬ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে বিহার। ২২৯ রানে অপরাজিত থেকে যায় বাবুল।