পুবের কলম ডেস্ক : দেশের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশ। এমনটাই জানিয়েছে এনআইটিআই আয়োগের বহুমুখী দারিদ্র্য ইন্ডেক্স (এমপিআই)। এই ইন্ডেক্স অনুযায়ী, বিহারের জনসংখ্যার ৫১.৯১ শতাংশ দরিদ্র। এরপরই রয়েছে ঝাড়খণ্ড। এই রাজ্যে জনসংখ্যার ৪২.১৬ শতাংশ দরিদ্র। তৃতীয় স্থানে উত্তরপ্রদেশ। এখানে জনসংখ্যার ৩৭.৭৯ শতাংশ গরিব। এরপর যথাক্রমে মধ্যপ্রদেশ (৩৬.৬৫ শতাংশ) ও মেঘালয় (৩২.৬৭ শতাংশ)। দারিদ্র্য সবচেয়ে কম কেরালা (০.৭২ শতাংশ), গোয়া (৩.৭৬ শতাংশ), সিকিম (৩.৮২ শতাংশ), তামিলনাড়ু (৪.৮৯ শতাংশ), পঞ্জাব (৫.৫৯ শতাংশ)। রিপোর্ট মোতাবেক, অক্সফোর্ড পোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (ওপিএইচআই) ও ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) প্রস্তুত করা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আধুনিক পদ্ধতি মেনে তৈরি করা হয়েছে এই ইন্ডেক্স। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবন যাপনের মান–এই তিনটি দিক নিয়ে বানানো হয়েছে বহুমুখী ইন্ডেক্স। ব্যবহার করা হয়েছে ১২টি সূচক যার মধ্যে রয়েছে পুষ্টি, শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর হার, শিশুর যত্ন, বিদ্যালয়ে পড়ার সময়সীমা, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার, রান্নার জ্বালানি, শৌচালয়, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রভৃতি। ১৯৩টি দেশ গ্রহণ করেছে স্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) যা উন্নয়নের নীতি, সরকারের অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রকে নতুনভাবে পথ দেখিয়েছে। এসডিজি কাঠামোতে রয়েছে ১৭টি আন্তর্জাতিক লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি টার্গেট। ফলে এর পরিসর অনেকটা বিস্তৃত। যাইহোক, নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার এই রিপোর্টের মুখবন্ধে বলেছেন, দেশবাসীর জন্য নীতি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে জাতীয় বহুমুখী দারিদ্র্য ইন্ডেক্স। এটি প্রস্তুত করার সময় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কেউ বাদ যায়নি। এর ফলে সরকারি নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রেও কেউ বাদ পড়বে না। এমনটাই আশা করেছেন তিনি। রাজীব কুমার আরও বলেছেন, ভারতের প্রথম জাতীয় মাল্টিডাইমেনশনাল পোভার্টি ইন্ডেক্সের ভিত্তি হল ২০১৫-১৬ সালের জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষা (এনএফএইচএস)। প্রসঙ্গত, তিনটি বিজেপি শাসিত রাজ্যই চরম দারিদ্র্যে ধুঁকছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার থেকেও কোনও সুরাহা হয়নি গরিবদের।