পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিহারে জাত সমীক্ষা করিয়েছিল প্রাক্তন নীতিশ সরকার। কিন্তু তাতে বেজায় আপত্তি ছিল বিজেপির। তাই বিহারের জাত সমীক্ষা নিয়ে দফায় দফায় বাধা আসছে বিভিন্ন উৎস থেকে। প্রথমে পটনা হাইকোর্টে জাত সমীক্ষা নিয়ে মামলা হয়। কিন্তু পটনা হাইকোর্ট বিহার সরকারের কাজে বাধা দেয়নি। এরপর মামলাকারীরা সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে যান। জাত সমীক্ষার বিরুদ্ধে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার চূড়ান্ত শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি হবে ১৬ এপ্রিল।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই মামলা শুনছে। জাতিগত সমীক্ষার বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল ‘এক সোচ এক প্রয়াস’ ও ‘ইয়ুথ ফর ইক্যুয়ালিটি’ নামে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। অখিলেশ কুমার নামে এক আবেদনকারীর দাবি, জাত সমীক্ষা নিয়ে বিহার সরকার যে নোটিশ জারি করেছিল, তা বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক।
লালু প্রসাদ যাদব, তেজস্বী যাদবরা ধর্মের রাজনীতি করেন না। তবে সেখানে জাতভিত্তিক রাজনীতির রেওয়াজ রয়েছে। ফলে কোন জাতির মানুষ কতজন রয়েছেন, তার তথ্য সামনে আনলে টার্গেট ভোটারদের মন জয় করতে পারবেন তেজস্বীরা। অন্যদিকে বিজেপির রাজনীতি ধর্মভিত্তিক। তারা চায় না, পিছিয়ে পড়া জাতির মানুষের সংখ্যা প্রকাশ করে ফায়দা তুলুক আরজেডির মত আঞ্চলিক দলগুলি।
উল্লেখ্য, বিহারে জাত ভিত্তিক সমীক্ষার তালিকা প্রকাশের পর বিপাকে পড়েছিল বিজেপি। সেই দেখে গত বছর বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন জাতি ভিত্তিক সমীক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি।