ফারুক আলম সোমবার বিধাননগর পুরনিগমের ভোট গণনা। সকাল ৮ টা থেকে ভোট গণনা প্রক্রিয়া শুরু হবে বিধাননগর কলেজে। দুপুরের মধ্যে জানা যাবে ৪১ টি ওয়ার্ডের মানুষের রায়। একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা বিগত পাঁচ বছরের জন্য ওয়ার্ডের ‘জনপ্রতিনিধির’ ছাড়পত্র পাবেন। আত্মবিশ্বাসী শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা জানান, বিধাননগর পুরনিগম বোর্ড পুনরায় ধরে রাখছে শাসক দল।এক্ষেত্রে তাঁদের যুক্তি, গত ১২ ই ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্বিক ‘উন্নয়ন’-এর নিরিখে ভোট বাক্সে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষেই নিজেদের রায় দিয়ে দিয়েছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘাসফুলের প্রার্থীদের জয়জয়কার কেবল সময়ের অপেক্ষা। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, ৩৮-৩৯ টি আসন ধরে রেখে বিধাননগরের পুরবোর্ড গঠন করবে তৃণমূলই। বিরোধীদের জয়ের তালিকায় আলোচ্য নাম হিসাবে উঠে আসছে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার আজিজুল হোসেন মন্ডলের ভাতৃবধূ নির্দলের মমতা মণ্ডলের নাম। এদিকে লাল শিবিরের দাবি, বিধাননগর নির্বাচনে বিরাট সংখ্যক আসন নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে বামফ্রন্ট।
অন্যদিকে সল্টলেকের এক বিজেপি প্রার্থী মনে করছেন, তৃণমূলকে হারিয়েই পুরবোর্ড গঠন করবে গেরুয়া শিবির। যদিও বিষয়টি কটাক্ষ করে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি আফতাব উদ্দিন, এ কে এম ফরহাদরা বলছেন, বিধাননগর বোর্ড গঠন নিয়ে বিজেপি দিবা স্বপ্ন দেখছে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘সেমিফাইনাল’ এই ভোটে দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি গেরুয়া শিবিরের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। নির্বাচনী গণনার আগে রবিবার রাজারহাট নারায়ণপুরে কাউন্টিং এজেন্ট ও দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি-সহ প্রমুখ। তৃণমূলের ওই বৈঠক অন্দর সূত্রে খবর, গণনা শুরু হওয়ার আগে অর্থাৎ সোমবার সকাল ৭ টা নাগাদ গণনা কেন্দ্রে প্রার্থী-এজেন্টরা উপস্থিত থেকে নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নিতে নির্দেশদেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এদিকে, বিধাননগরে অবাধ শান্তিতে ভোট গণনা করতে তৈরি প্রশাসন। বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, গণনার দিন বিধাননগর কলেজে ডেপুটি পদস্থ আধিকারিক-সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মহিলা কনস্টেবল মিলিয়ে বিধাননগর কলেজ চত্বর থাকবে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে। বাইরের অংশে কোন গন্ডগোলের খবর ঘটলে পুলিশ তা কড়া হাতে মোকাবিলা করবে।