পুবের কলম প্রতিবেদক: বাক স্বাধীনতার নামে বিজেপির বহিস্কৃত নেত্রী নূপুর শর্মা নবী সা. কে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম। সোমবার এক প্রেস বিবৃতিতে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীর রবিউল ইসলাম ও রাজ্য সভাপতি ইসরারুল হক মন্ডল জানিয়েছেন,বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ সা. সম্পর্কে যে ন্যাক্কারজনক, কুরুচিপূর্ণ অবমাননাকর মন্তব্য যারা করেছেন, তার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ভারতবর্ষে ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সর্বভারতীয় মু’পাত্র মিডিয়ায় বসে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম নবী মুহাম্মদ সা. সম্পর্কে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তাকে কোন মতেই বাক স্বাধীনতা হিসেবে বিবেচনা করা যায় না, বরং এটা ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন। কারন নবী মুহাম্মদ সা. কে অবমাননা করলে যারা ইসলামের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন তাদের পবিত্র অনুভুতিতে আঘাত করা হয়। ব্যক্তির বাক স্বাধীনতার নিজেরই একটি সীমা আছে। ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলে অন্য স্বাধীনতায় আঘাত করা অনুচিত। তারা আরও বলেন, ভারতবর্ষ একটি বহুজাতি ও বহু ধার্মিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃত ও তা পরবর্তী সময়ে বিকশিত হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকরা পরস্পরের ঐতিহ্য ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অভ্যস্ত। নবী মুহাম্মদ সা. কে অসম্মান করা ক’নোই বাক স্বাধীতা হতে পারে না। ইসলামের প্রতি নিয়মতান্ত্রিক তীব্র ঘৃণা ও দুর্ব্যবহার অনুশীলনের প্রেক্ষাপটে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। এই ঘটনার নিন্দা বর্হিভারতে ছড়িয়েছে ও তার প্রভাবে অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। বিশ্বের দরবারে দেশের সম্মান ভূলণ্ঠিত হচ্ছে। এমন কুরুচিপূর্ণ, প্ররোচিত, অভিসন্ধিমূলক ভাবনা, অন্যের বিশ্বাস ও আবেগের উপর আঘাতের প্রতিবাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো উচিত সকল সুনাগরিকের। তবে প্রতিবাদ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ সংযত হতে হবে। হিংসা, অবরোধ, অশান্তি, ধর্মীয় বিদ্বেষ জাগরিত করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ক’নোই প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। প্রতিবাদের পন্থা ক’নোই নবীজির আদর্শ, জীবনদর্শন, মানবিক সামাজিক শিক্ষা, ইসলামি দর্শনের বিপরীত পথে প্রচলিত হওয়া উচিত নয়।
তারা আরও বলেন, এই ধরনের ইসলাম বিদ্বেষপ্রসূত মন্তব্যের জন্য যদি কোন শাস্তি পেতে না হয়, যদি এটা অব্যাহত থাকে, তাহলে সেটা মানবাধিকারের জন্য এক গুরুতর হুমকি এবং এর ফলে বিদ্বেষ, ঘৃণার একটা চক্র তৈরি হবে। যারা এটাকে প্রশয় দেয় তাঁরা সমাজ, জাতির সামনে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করেছেন। তারা আরও বলেন, ভারতবর্ষের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকল ধর্মপ্রাণ মানুষ একসাথে মিলে মিশে সুস্থ থাকার জন্য সৎচিন্তাধারায়, সৎকর্মে, সৎ সংকল্পে, সৌভাতৃত্বে, বন্ধুত্ব অটুট রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।