পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: টানা তিনদিন ধরে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে কার্যত জলে ভাসছে তেলেঙ্গানা সহ ছত্তিশগড়। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গোদাবরী নদীর জলস্তর। পোলাভারম প্রকল্পের দৌলেশ্বরম ব্যারেজে-এর ওপর দিয়ে জল বইতে থাকায় ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে স্থানীয় মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পোলাভারম প্রকল্পের দৌলেশ্বরম ব্যারেজ থেকে প্রায় তিন কিউসেজ জল ছাড়া হয়েছে। বাড়তি জল ছাড়ার জন্য ব্যারেজের ১৭৫টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম গোদাবরী, ইলুরু এবং আলুরি সীতারামা রাজু জেলার কর্তৃপক্ষ নদীতীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী স্থানীয় মানুষকে বিশেষ করে পোলাভারম প্রকল্পের এজেন্সিগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রায় ৩০ মিটার পর্যন্ত জলস্তর পৌঁছেছে পোলাভারমে।
ব্যাকওয়াটারের ক্রমবর্ধমান প্লাবিত হওয়ার কারণে এলুরুর পোলাভারাম এবং আলুরি সীতারামা রাজু জেলার দেবীপত্তনমের নিচু এলাকাগুলিতে জলস্তর বাড়ছে। যানজটে অবরুদ্ধ গোটা শহর। গত মাসেই প্রকল্পের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নরসিমা মূর্তি বন্যায় জলস্তর বাড়ার আশঙ্কায় গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। এই মাসের শুরুর দিকেই এই প্রকল্পের কারণে স্থানীয়দের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়।অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে বিজয়ওয়াড়ার প্রকাশম ব্যারেজের লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বাড়তি জল ছাড়তে প্রায় ২০ গেট একফুট উঁচু করা হয়েছে। এদিকে, উত্তর উপকূলীয় অন্ধ্র, গোদাবরী এবং কৃষ্ণা ব-দ্বীপ এবং রায়ালসিমা অঞ্চলের কিছু অংশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
মৌসম ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এলুরুর চিন্তলাপুদি এবং কোয়্যালাগুদেমে সর্বাধিক ৭ সেমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, তারপরে শ্রীকাকুলাম জেলার পাথাপত্তনমে ৬ সেমি এবং এলুরু জেলার ভেলেরুপাদু এবং নুজভিডে ৬ সেমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। জেলা কালেক্টর ভি প্রসন্ন ভেঙ্কটেশ এলুরুর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। জেলা কালেক্টর স্থানীয় মানুষকে এই সময় নদীতে যেতে নিষেধ করে নিরাপদ স্থানে সরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। জেলায় জলাশয়ের বাঁধগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং বন্যাপ্রবণ অঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে সেচ বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশ বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ বি আর আম্বেদকর জানিয়েছেন, তারা দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলির দিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। দুর্গতদের সাহায্যে কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি জরুরি পরিষেবা, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, দমকলকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।