পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে পুরনো সংবাদ পত্রের ব্যবহার বহুমুখী। বিশেষ করে খাদ্য সামগ্রীর প্যাকিং-এর ক্ষেত্রে খবরের কাগজের ব্যবহারের জুরি মেলা ভার। ঝালমুড়ি হোক, কিংবা শিঙাড়া-কচুরি-রোল, খবরের কাগজে মুড়ে খাবার দেওয়ার চল কিন্তু বেশ পুরনো। কিন্তু ওই খবরের কাগজে মোড়া খাবারই স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই খবরের কাগজে মুড়ে খাবার পরিবেশনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ বা এফএসএসএআই জানিয়েছে, পুরোনো খবরের কাগজ থেকে উপভোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই অবিলম্বে খাদ্য বিক্রেতাদের খাবার প্যাকিং, পরিবেশন এবং সংরক্ষণের ক্ষেত্রে খবরের কাগজের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে এফএসএসএআই। তবে কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত? কী এমন আছে খবরের কাগজে, যা শরীরে গেলে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে?
এফএসএসএআই-এর প্রধান কার্যনির্বাহী কর্তা জি কমল বর্ধন রাও জানিয়েছেন, সংবাদপত্রে যে কালি ব্যবহার করা হয়, তাতে ন্যাফথাইলামাইন, অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোজেন আর কার্বন যৌগের মতো বায়ো-অ্যাকটিভ পদার্থ রয়েছে। যা খবরের কাগজে মুড়ে রাখা বা ঠোঙায় রাখা খাবারে সহজেই সংক্রমিত হয় ও শরীরের উপর বিষাক্ত প্রভাব ফেলে।ওই খাবার খেলে, উপভোক্তাদের শরীর খারাপ হতে পারে এবং শরীরের উপর বিষাক্ত প্রভাব ফেলে। এছাড়া চপ, শিঙাড়া, কচুরির মতো ভাজাভুজি কাগজের ঠোঙায় পুরেই সাধারণত বিক্রি করা হয়। গবেষণা বলছে, সেই ভাজাভুজি থেকে যে তেল বেরোয়, তা কালির সঙ্গে মিশে গিয়ে মারাত্মক বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। যা ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে আপনাকে।
ফএসএসআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্যান্ডার্স রেগুলেশন ২০১৮ অনুযায়ী, খাবার রাখার জন্য বা কাগজ দিয়ে খাবার মুড়িয়ে রাখা নিষিদ্ধ। এছাড়াও খাবার মোড়ানো, ঢাকা দেওয়া বা পরিবেশন করা বা ভাজা খাবার থেকে অতিরিক্ত তেল শোষণ করার জন্য কোনওমতেই সংবাদপত্র ব্যবহার করা উচিত নয়।
এর আগেও বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, খবরের কাগজের কালিতে থাকা মারাত্মক বিপজ্জনক উপাদানের কথা। এ থেকে সুদূরপ্রসারী নানা সমস্যা হতে পারে। এমনকী ক্যানসারের মতো অসুখের আশঙ্কাও মারাত্মক বেড়ে যেতে পারে এর ফলে। এবার সরকারি সংস্থাও সেই একই দিকেই ইঙ্গিত করল।