পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ২০১৪ সালের পর থেকে জার্মানিতে ইসলামোফোবিয়ার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। নব্য নাৎসি ও উগ্র ডানপন্থী দলগুলির উত্থানে হুমকিতে পড়েছে সেদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী। বিগত ৮ বছরে দেশটির ৮০০ রও বেশি মসজিদে উগ্র ডানপন্থী হামলা হয়েছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপরাধগুলির সঠিক তদন্ত করা হয়নি। মানবাধিকার সংগঠন এফএআইআর (ফেয়ার) ইন্টারন্যাশনাল এ তথ্য জানিয়েছে। জার্মানিতে প্রথম যখন কোনও মসজিদে হামলা হয়, তখনই সংগঠনটি প্রথম রিপোর্টিং সেন্টার চালু করে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, ৮ বছরে ৮৪০টি মসজিদে হামলা, ভাঙচুর এবং হুমকির ঘটনা রেকর্ড হয়েছে। ২০১৮ সালে অপরাধের বিশদ বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরাধীদের শনাক্ত করা যায়নি। এর ফলে নব্য-নাৎসি বা উগ্রবাদীরা মসজিদে আরও আক্রমণ চালাতে উৎসাহ পেয়েছে। সংগঠনটি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘সাধারণভাবে, মসজিদে হামলার বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।’ ২০১৮ সালে জার্মানির বিভিন্ন মসজিদে ১২০টি হামলা চলেছে। কিন্তু মাত্র নয়টি ঘটনায় অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।’ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘এই হার উদ্বেগজনক।’ তারা জোর দিয়ে বলেছেন, কমপক্ষে ২০টি হামলায় মসজিদে অগ্নিসংযোগ, মুসল্লিদের হত্যা ও শারীরিক ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘সাধারণত প্রতিটি ঘটনার পরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, তদন্তও শুরু করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হল, একটি ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্ত এবং সমাধান আজ পর্যন্ত হয়নি।’ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানিতে বর্ণবাদ এবং মুসলিম বিদ্বেষ অনেক বেড়েছে। নব্য-নাৎসি গোষ্ঠী এবং ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) পার্টির প্রোপাগান্ডা দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মসজিদগুলিতে হামলার সংখ্যা বেড়েছে।