পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলে বন্দী ২৭ বছর বয়সী আতিক-উর রহমান গুরুতর অসুস্থ। তাকে আগ্রা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ধর্ষণের ঘটনায় এক দলিত মেয়ে মারা যাওয়ার পর সংবাদ সংগ্রহে সেখানে যাওয়ার পথে ‘আইন -শৃঙ্খলা সমস্যা তৈরির ষড়যন্ত্র’ এর অভিযোগে সাংবাদিক সিদ্দিক কাপনের সঙ্গে আতিক-উর রহমানকেও গ্রেফতার করা হয়। ইউপি পুলিশ ২০২০ সালের অক্টোবরে আতিক-উর রহমান এবং সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান সহ সাতজনের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ)মামলা করে।
মথুরা জেলা কারাগার থেকে ওই পাঁচজনকে যখন পিএমএলএ আদালত থেকে লখনউতে নিয়মিত শুনানির জন্য হাজির করা হয়,তখন পথে আতিকুর রহমান বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন, যিনি গত এক বছর ধরে হৃদরোগে ভুগছেন। তিনি এদিন আবার বুকে প্রচণ্ড বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে আগ্রার সরোজিনী নাইডু হাসপাতালে নিয়ে যান এবং ভর্তি করেন। তার আইনজীবী শিরান এম আলভি বলেন, আতিক-উরের স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই গুরুতর। চিকিৎসা পাওয়া একজন অভিযুক্তের মৌলিক অধিকার।
যেহেতু, তাকে ইউএপিএ -র অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে, জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে সে লড়াই করছে,তার চিকিৎসা দরকার অথচ তাকে এক মাস অপেক্ষা করতে বাধ্য করা হয়েছিল। আইনজীবী আলভি লখনউয়ের পিএমএলএ আদালতে আতিক-উর রহমানের মেডিকেল চেকআপ করার জরুরী আবেদনও করেছিলেন। হৃদরোগী রহমান, যিনি ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (সিএফআই)কোষাধ্যক্ষও, তাকে ‘ষড়যন্ত্র’ মামলায় ‘অভিযুক্ত নম্বর ওয়ান’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। তিনি জটিল হৃদরোগে ভুগছেন। গত বছর, দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস) এ তাকে তার শারীরিক অবস্থার জন্য বেন্টাল পদ্ধতিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল চিকিৎসক। কিন্তু চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরিবার আশঙ্কা করছেন, আতিক-উর রহমান জেলেই মারা যাবেন কারণ তার হৃদরোগের সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না।