পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারাল কমপক্ষে ৮ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর শিবকাশীতে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান বাজি বিস্ফোরণের ফলেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শিবকাশীর সেঙ্গামালাপট্টিতে অবস্থিত এই কারখানায় বিস্ফোরণের তীব্রতা এতো বেশি ছিল যে সেখানে সাতটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের জেরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল এবং পুলিশ।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ। রাষ্ট্রপতি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ” তামিলনাড়ুর শিবকাশীর কাছে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে বহু মানুষের প্রাণহানির বিষয়ে জানতে পেরে আমি দুঃখিত। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, শিবকাশীর কাছে গিজাথিরুথাঙ্গল গ্রামে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৮ শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এই মর্মান্তিক সংবাদ জানতে পেরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। বিরুধুনগরের জেলা শাসকের সঙ্গে এই নিয়ে কথা হয়েছে। তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। আহতদের সাহায্য করা হবে। তিনি পোস্টে আরও যোগ করেন, “আমি নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে।”
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর শিবকাশীতে এমন দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে বিরুধুনগরে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে রাঙ্গাপালায়ম এবং বিরুধুয়ানগরের কিচনায়কানপট্টি গ্রামে আতশবাজি ইউনিটে দুটি পৃথক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ১১।