পুবের কলম প্রতিবেদক করোনা কারণে দীর্ঘদিন আয়োজিত হয়নি এশিয়া কাপ ক্রিকেটের আসর। এবার সেই প্রতিযোগিতা ফের শুরু হতে চলেছে। ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান রামিজ রাজা। কিন্তু ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে সেটা সম্ভব কিনা তা নিয়ে নিশ্চয়তা ছিল না। কিন্তু উপমহাদেশিয় দর্শকরা যাতে উপমহাদেশের মাটিতে ক্রিকেটের ময়দানে ভারত-পাক লড়াই দেখতে পায়– সে জন্যেই এবার এশিয়া কাপের আয়োজন হতে চলেছে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। কিন্তু সেটি কি আদৌ সম্ভব। ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার মাটিতে আয়োজিত হবে এশিয়া কাপের আসর। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতার আগে একটা প্রশ্নচিহ্ন বসতে চলেছে।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা জুড়ে শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক হাহাকার। মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া। পেট্রোল ডিজেলের দাম বেড়েছে বহুগুণে। যা লঙ্কাবাসী এতকাল কল্পনাও করতে পারেনি। মুদ্রাস্ফীতি এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যে দেশের স্কুল– কলেজ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই দুটো বছর মহামারী করোনা শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থা তছনছ করে দিয়েছে। এবার অর্থনীতির চরম দুসময়ে দেশের কাগজ কেনারও ক্ষমতা নেই। স্কুল কলেজ সব কিছুই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। এমনকি পরীক্ষাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমত অবস্থায় শনিবার থেকে দেশে লাগু হয়েছে জরুরী অবস্থা। অর্থের অভাবে আইপিএল সম্প্রচারও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অথচ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলছেন। কিন্তু নিজের দেশের মানুষ তাদের নিজেদের ক্রিকেটারদের খেলাই দেখতে পাবেন না।
এমন অবস্থা ঠিক কতদিন চলবে কেউ জানেন না। পরিস্থিতি যা তাতে ভারতের দক্ষিণের এই দ্বীপরাষ্ট্রটি এই মুহূর্তে দারুণ সংকটে। আর এমন সংকট চলতে থাকলে আগস্টে আয়োজিত হতে চলা এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ওপরও যে তার প্রভাব পড়তে চলেছে তা একবাক্যে স্বীকার করে নেওয়া যেতে পারে। কারণ শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে দেশের সরকার জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে তা যদি এশিয়া কাপের আগে তুলেও নেওয়া হয়– তাহলেও অর্থিক অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হবে কি? তা যদি না হয় তাহলে কিন্তু এশিয়া কাপের আসরে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন জুড়তে চলেছে।