পারিজাত মোল্লাঃ চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড সিবিআই তদন্তের ওপর একপ্রকার ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘সিট’-এ বদল এনেছিলেন। এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ডিআইজি অখিলেশ সিং-কে ‘সিট’এর প্রধান করা হয়েছিল।
তবে অখিলেশ সিং-এর বদল চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিবিআই। কেননা অখিলেশ সিং আসামে গেছেন বদলি হয়ে। এরপর পরিবর্তিত তিনজন সিবিআইয়ের অধিকারিকদের নাম আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই প্রেক্ষিতে তিন আধিকারিকের নাম দেওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্ট একজনকে বেছে নিয়েছে।
শুক্রবার আদালতে তিন আধিকারিকের নাম জমা দিয়েছিল সিবিআই। তিনজনই ডিআইজি পদমর্যাদার। তাদের মধ্যে ছিলেন সুধাংশু খারে, যিনি কলকাতায় কর্মরত। মাইকেল রাজ, যিনি বর্তমানে রাঁচিতে কর্মরত এবং অশ্বিন সাংভি, যিনি চন্ডীগড়ে কর্মরত। এই তিনজনেই দুর্নীতি মামলায় পারদর্শী বলে জানা গেছে।
এদিন এজলাসে এই মামলার শুনানি পর্বে নাম পাওয়ার পর বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন, প্রথম যখন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় তখন পঙ্কজ শ্রীবাস্তব বলে একজন আধিকারিক ছিলেন। তিনি এখন কোথায় আছেন? সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তিনি বর্তমানে গাজিয়াবাদে সিবিআই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আছেন। তিনি সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা, আইজি পদমর্যাদার আধিকারিক’। তাঁকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব কিনা জানতে চেয়েছিল আদালত। পরে অবশ্য অশ্বিন সাংভিকে ‘সিট’ প্রধান করা হয়েছে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, অখিলেশ সিং নিয়োগ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই তদন্ত থেকে সরে যেতে পারবে না। এছাড়াও অন্য কোনও মামলায় তাঁকে যুক্ত করতে পারবে না সিবিআই এবং তাঁকে আদালতের অনুমতি ছাড়া বদলিও করতে পারা যাবে না’। তবে এখন যেহেতু তিনি অসম পুলিশের আইজি পদে, তাই ‘সিট’-এর দায়িত্ব নেননি অখিলেশ সিং।