পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাংলায় ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের রায় নিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্ট ইন্ডিয়া জোটকে একটা বড় থাপ্পড় মেরেছে। হাইকোর্ট রাজ্যের জারি করা সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছে।’ একইসঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সরকার ভোটব্যাঙ্কের জন্য, যাচাই না করেই মুসলিমদের ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে। এই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আজ আদালত থাপ্পড় মেরেছে।’
এদিকে বুধবারই ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের রায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বদমায়েশ লোকেরা কাজ করায় এজেন্সিকে দিয়ে। কাউকে দিয়ে একটা অর্ডার করিয়েছে, যদিও এই রায় আমি মানি না। যেমন ২৬ হাজার শিক্ষক বাতিল করেছিল বিজেপি, আমি বলেছিলাম ওদের রায় মানি না। তেমনই আজ বলছি, যেই রায় দিয়ে থাকুন, বিজেপির রায় আমরা মানব না। ওবিসি রিজার্ভেশন চলছে চলবে।’ একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা কলঙ্কিত অধ্যায়। কীভাবে বাড়ি বাড়ি সার্ভে করে ওবিসি রিজার্ভেশন করা হয়েছিল। ২০১২ সাল থেকে এই কাজ চলছে। সরকারের পলিসি নিয়ে কেন এই সিদ্ধান্ত?’
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের পর তৈরি সব ওবিসি তালিকা বাতিল। বাতিল ৫ লক্ষ সার্টিফিকেট। বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ২০১০ এর আগে ওবিসি তালিকা ও শংসাপত্র বৈধ বলেই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আদালতের রায় কোন প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে৷ এ দিন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করল৷ মোট কথা, আজ থেকে রাজ্যে ওবিসি বলে আর কিছু থাকল না৷ নতুন ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা ১৯৯৩ সালের আইন মেনে তৈরি করার পর রাজ্যে তা কার্যকর করা হবে৷ তবে আদালতের তরফ থেকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যে ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কারও চাকরি যাবে না৷ যাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন, তাঁরাও চাকরি পাবেন৷