পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
মামলা স্থানান্তকরণের মামলায় দিল্লির প্রিন্সিপ্যাল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ের ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন রাজ্যের এই প্রাক্তন আমলা।
ক্যাট মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি চেয়ে আবেদন করেন আলাপন বাবু।
গতকাল শুনানির পর রায়দান স্থগিতঁ রাখে অবসরকালীন ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের দুই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও রবীন্দ্রনাথ সামন্ত তড়িঘড়ি ক্যাটের দিল্লিতে মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ক্যাট দিল্লিতে মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরেও একটি মামলা হয়। কলকাতা হাইকোর্ট সেই রায়কেও খারিজ করে দিল।
অবসরের ঠিক আগেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মজীবনের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের সঙ্গে সেই সময় টানাপোড়েনের জেরে ৩১ মে অবসরের নির্দিষ্ট দিনেই অবসর নিয়ে নেন আলাপন বাবু।
এর পর আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রের কর্মিবর্গ মন্ত্রক। ওই তদন্ত খারিজের দাবিতে ক্যাট-এর কলকাতা বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। অবসরকালীন সুযোগসুবিধা থেকেও যে এই প্রাক্তন আমলাকে বঞ্চিতঁ করা হচ্ছে তাও আদালতকে জানান।
বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বলেন এই ভাবে মামলা স্থানান্তর প্রসঙ্গে বলেন এই সিন্ধান্তের মাধ্যমে একজন মামলাকারীকে তার প্রাপ্য ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার সমান। এত তাড়াহুড়োর কি ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট।
কর্মীবর্গের আইনজীবী এই প্রসঙ্গে জানান যে কোনও বেঞ্চে মামলা স্থানান্তর করার ক্ষমতা রয়েছে ক্যাট-এর চেয়ারম্যানের। দিল্লিতে আলাপনের সব নথি রয়েছে। তাই হয়তো ওই মামলা সরানো হয়েছে। তবে যাই হোক না কেন আপাতত স্বস্তি পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন এই মুখ্যসচিব।