মোল্লা জসিমউদ্দিন: নরেন্দ্রপুর স্কুলে হামলা (Narendrapur school attack) মামলায় মূল অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ (HIGH COURT) থেকে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও কোন সুরাহা পাননি। আলিপুর জেলা আদালতে( Alipur District Court) আগাম জামিন চেয়ে দারস্থ হয়েছিলেন। সেখানে খেলেন জোর আইনি ধাক্কা।
জামিন চেয়ে আইনজীবী মারফত্ আলিপুর জেলা আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে জানিয়েছেন, -‘অবিলম্বে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আদালতে আত্মসমপর্ণ করুন’।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর হাইস্কুলে (Balrampur High School, Narendrapur) ঢুকে একদল বহিরাগতের চালানো হামলায় আহত হন কয়েক জন শিক্ষক, সম্ভ্রমহানি করা হয় শিক্ষিকাদের। জানা গিয়েছে, ওইদিন নরেন্দ্রপুরের ওই স্কুলে প্রথম ক্লাস চলছিল। সেই সময় টিচার্স রুমে ছিলেন কুড়ি জন মত শিক্ষক-শিক্ষিকা। আচমকা সেখানে ঢুকে পড়েন ২০-২৫ বহিরাগত।
অভিযোগ, কোনও রকম কথায় না গিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের মারধর শুরু করেন তাঁরা। হামলার ছবি তুলতে গেলে তিন-চার জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙেও দেওয়া হয়।নিগৃহীত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এফআইআরে নাম রয়েছে স্কুলের প্রধানশিক্ষক, স্থানীয় বনহুগলি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির দু’জন সদস্যের।
মাধ্যমিক শুরুর আগে এফআইআরে নাম থাকা সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতারির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। কিন্তু এখনও ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টে আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গত ৩১ জানুয়ারি সাসপেন্ড করেছে পর্ষদ। এবার জেলা আদালতেও খারিজ হযে গেল জামিনের আবেদন।