পুবের কলম প্রতিবেদক: ‘যন্ত্র ছিল তবে, ছিলেন না যন্ত্রী’। কোথাও আবার অতিরিক্ত লোকবলের প্রয়োজনও ছিল। এর ফলে, চিকিৎসা পরিষেবায় সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। অবশেষে, সমাধান করা হল সমস্যার। যার জেরে, কলকাতা সহ এই রাজ্যের অন্য বিভিন্ন প্রান্তের মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল মিলিয়ে ১৫টি জায়গায় তৈরি করা হল মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের অতিরিক্ত ৩৯টি পদ।
২৪ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের এক নির্দেশে এমনই জানানো হয়েছে, হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মিলিয়ে এ রাজ্যের ১৫টি জায়গায় মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের স্পেশাল ক্যাটেগরিতে অতিরিক্ত ৩৯টি পদ তৈরি করা হয়েছে। এই ১৫টি জায়গা হল: মেদিনীপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। রয়েছে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, এসএসকেএম হাসপাতাল, বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল, ডাক্তার বি সি রায় পিজিআইপিএস, উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতাল।
পারফিউশিওনিস্ট, রেডিওথেরাপিউটিকস, ইইজি/ইএমজি, ক্যাথল্যাব এবং, ডায়ালিসিস, এই সব স্পেশাল ক্যাটেগরিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের এই ৩৯টি অতিরিক্ত পদ তৈরা করা হয়েছে।
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের একটি সংগঠন, ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোগ্রেসিভ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর রাজ্য সম্পাদক, সমিত মণ্ডলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘কোনও কোনও জায়গায় যেমন যন্ত্র ছিল, তবে, যন্ত্রী ছিলেন না। কোনও কোনও জায়গায় তেমন আবার অতিরিক্ত লোকবলের প্রয়োজনও ছিল। এর ফলে পরিষেবা ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছিল না।
এবার এই নির্দেশের ফলে পরিষেবা পেতে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হবে না। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ, অভিনন্দন।’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না হলে যে চিকিৎসা পরিষেবা চলতে পারে না, এটা প্রমাণিত।’
আগামী দিনে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বিভিন্ন দাবি পূরণের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আশায় রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।