পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ২০ জুন আটক করে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক বিনীত নারাইনকে। তাঁর সঙ্গে আরও দু’জনকেও গ্রেফতার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বিনীত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) প্রবীন এক নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিজনোরে জমি জবরদখলের অভিযোগ তুলেছিলেন। আর তাতেই চটেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪ ধারা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বিনীতের উপর। তবে, এই ঘটনার পর ইলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে এই ধরনের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ এফিডেভিটের জন্য তীব্র সমালোচনা করেছে। আদালত বলেছে, পুলিশের ‘মান পড়ছে’।
প্রসঙ্গত, ১৯ জুন নারাইন ভিএইচপির সহ-সভাপতি ও রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইয়ের ভাই সঞ্জয় বনশলের বিরুদ্ধে ২০ হাজার বর্গ মিটার জমি জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। এই জমিতে সমাজকর্মী আলকা লাহোটি একটি গোশালা চালান। ‘লাউড ক্রাইসিস’ নামে একটি ইউটিউব শো’তে এই জমিদখলের কথা বলেন নারাইন।
বনশল এই পোস্টকে ‘ষড়যন্ত্র’ ও ‘মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ নারাইন, লাহোটি ও নারাইনের বন্ধু রজনীশকে আটক করে। তাঁদের বিরুদ্ধে বলা হয় যে, ধর্মের ভিত্তিতে তাঁদের পোস্ট ঘৃণা ছড়িয়েছে। পাশাপাশি, প্রতারণা ও বিনা অনুমতিতে প্রবেশের অভিযোগও তোলা হয়। এদিকে, বনশলকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। যাইহোক, ২৮ জুলাই এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি সূর্য প্রকাশ কেশরওয়ানি ও পীযূষ আগরওয়ালের বেঞ্চ বিজনোরের পুলিশ সুপার ধর্মবীর সিংকে নোটিশ পাঠিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে চার্জ আনা হয়েছে তা ন্যায্য কিনা তা স্পষ্ট করতে এফিডেভিট জমা দিতে বলে। কিন্তু পুলিশের দেওয়া সেই এফিডেভিটে খুশি নয় আদালত। তা ত্রুটিপূর্ণ। আদালত আরও জানিয়েছে, পুলিশের আচরণ ‘প্রাথমিকভাবে নিন্দাযোগ্য’।