পুবের কলম ডেস্ক : এয়ারসেল ম্যাক্সিস কাণ্ডে যুক্ত থাকা্র অভিযোগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্র কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআইয়ের মামলা রয়েছে। এবার দিল্লির এক আদালত তলব করল তাঁদের। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের চার্জ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। তদন্তকারী এজেন্সিগুলির জমা দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছে আদালত।
তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সঞ্জয় জৈন আগে আদালতকে জানিয়েছিলেন যে, বিভিন্ন দেশে ‘লেটার রোগেটরি’ পাঠিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। লেটার রোগেটরি হল তথ্য পেতে বিদেশী আদালতের মাধ্যমে অনুরোধ পাঠানো। যাইহোক, সিবিআই জানিয়েছিল যে, তারা নতুন সূত্র নিয়ে কাজ করছে। দুটি সংস্থাই আদালতে আগেই তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। পি চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্র কার্তি চিদাম্বরমের নাম উঠে আসে এয়ারসেল ম্যাক্সিস মামলায় এবং আদালত দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল এই বিষয়ে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে। এরপর মামলা স্থগিত হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, দুই এজেন্সির কাছে রিপোর্ট চাওয়ার সময় আদালত বলেছিল যে, চার্জশিটে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা প্রকৃতিগতভাবে ‘বেশ গুরুতর’। পূর্বের বিচারপতি ও পি সাইনি অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার সময় বলেছিলেন যে, সমস্ত প্রমাণ যেন অভিযুক্তরা বিকৃত না করেন। এয়ারসেল ম্যাক্সিসকে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ডের গ্রান্টের অনুমোদন দেওয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এরই তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। তদন্তকারী সংস্থাগুলির দাবি, ২০০৬ সালে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল এবং তখন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন পি চিদাম্বরম। অভিযোগ উঠেছে, কার্তি চিদাম্বরম ৫ শতাংশ শেয়ার না পাওয়া পর্যন্ত ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ডের অনুমোদন আটকে রেখেছিলেন চিদাম্বরম।