পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা হতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। ট্রেন পুড়িয়ে দেওয়া থেকে হিংসা, ভাঙচুর কিছুই বাদ যায়নি। পরে সেই বিতর্কে ইতি টানে কেন্দ্র সরকার।
শনিবার ৯০তম বায়ুসেনা দিবস পালনের দিন চণ্ডীগড়ের অনুষ্ঠানে বায়ুসেনায় মহিলা ‘অগ্নিবীর’দের নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হল।
বায়ুসেনা প্রধান ভি আর চৌধুরী জানিয়ে দিলেন, আগামী বছর থেকেই বায়ুসেনায় মহিলা ‘অগ্নিবীর’দের নিয়োগ পর্ব শুরু হবে। বায়ুসেনা প্রধান এদিন আত্মনির্ভরতার উপরে জোর দিয়ে বলেন, সময় অনুযায়ী রণকৌশল বদলাচ্ছে, সেইভাবেই দ্রুত পরিবর্তন আনতে হবে সেনাবাহিনীতে।
বায়ুসেনায় অস্ত্রশস্ত্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বায়ুসেনা প্রধান ভি আর চৌধুরী বলেন, অস্ত্রশস্ত্রের জন্য একটি আলাদা বিভাগ একটি নতুন ‘ওয়েপন সিস্টেম’ তৈরি হচ্ছে। অগ্নিপথ স্কিমের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনাতে বিমান যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের সকলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ৷ কিন্তু এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটি আমাদের ভারতের যুবসমাজকে কাজে লাগানোর এটি একটি সুযোগ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যুবসমাজ দেশের সেবার দিকে চালিত হবে’।
শনিবার চণ্ডীগড়ে ভারতীয় বায়ুসেনা দিবস ২০২২ এর কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভিআর চৌধুরি৷ সেখানেই তিনি এই কথা গুলি বলেন।
বায়ুসেনা প্রধান আরও বলেন, স্বাধীনতার পরে এই প্রথম এই ধরনের শাখা প্রস্তুত করা হচ্ছে বায়ুসেনার জন্য। এর ফলে সব মিলিয়ে বায়ুসেনার ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সাশ্রয় হবে।
শনিবার ভারতীয় বায়ুসেনা সুখনা লেকে তার ৯০ বছর প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন শুরু করেছে। এই প্রথম দিল্লি-এনসিআরের বাইরে বার্ষিক প্যারেড এবং ফ্লাই-পাস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বায়ুসেনা দিবসের কর্মসূচির এয়ার শো-তে অংশ নেয় রাফাল, সুখোই-৩০’-এর মতো যুদ্ধ বিমান। ছিল রণ-হেলিকপ্টার প্রচণ্ড। তবে এদিনের বায়ুসেনা দিবসের মূল ফোকাস ছিল ‘আত্মনির্ভরতা’র দিকেই।
এতদিন পর্যন্ত দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে এই কর্মসূচি পালিত হতে দেখা গিয়েছে। ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাজধানীর পালম ও পরে যোগীরাজ্যের হিন্ডন সেনাঘাঁটিতে পালিত হত এই বিশেষ দিনটি। কিন্তু এই প্রথম বায়ুসেনা দিবস পালিত হচ্ছে হরিয়ানায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ৩৫ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন এই বিশেষ অনুষ্ঠানে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এদিন সকালে বাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি একটি ট্যুইট করে বলেন, ভারতীয় বায়ুসেনা দিবসে সমস্ত সাহসী আইএএফ বিমান যোদ্ধা এবং তাদের পরিবারকে অভিনন্দন এবং শুভকামনা। ভারতীয় বায়ুসেনা তার বীরত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব, কর্মক্ষমতা এবং পেশাদারিত্বের জন্য পরিচিত। ভারত নীল রং পরিহিত পুরুষ এবং মহিলা সেনা আধিকারিকদের জন্য গর্বিত। তাদের নীল আকাশের শুভেচ্ছা এবং শুভ অবতরণ ৷”