পুবের কলম প্রতিবেদক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের সংঘাত কি আরও তীব্র হচ্ছে? ফের কমিশনের তরফে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। সূত্রের খবর, এর আগের চিঠির উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাতে ক্ষুব্ধ কমিশন ফের চিঠি পাঠাল। ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, তাও তৃতীয় নোটিসে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া তৃতীয় নোটিশে জানতে চাওয়া হয়েছে, সিসি ক্যামেরা বসানো বসানো নিয়ে কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, অ্যান্টি র্যাগিং সেলে যাঁরা কার্যকরী ভূমিকায় ছিলেন তাঁদের কাছে সমস্ত নথি যথাযথ ভাবে সংরক্ষিত হয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এর আগের নোটিশের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় যা জানিয়ে ছিল তাতে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। এমনকি উত্তরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কমিশনের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। উত্তরে ক্ষুব্ধ এবং বিস্মিত কমিশন।
প্রসঙ্গত এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য আবেদন জানায় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশের উত্তরে গোটা ঘটনায় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া দুটি উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি কমিশন। একমাস পর শনিবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাফাইকর্মীরা প্রবেশ করেছেন। এত দিন গেট বন্ধ থাকায় তাঁরা আসতে পারেননি। নতুন অধ্যক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার পর কর্তৃপক্ষের তরফে আবেদন জানানো হয়। জানা গিয়েছে, সাফাইকর্মীরা যাদবপুরের ওপেন এয়ার থিয়েটারে খালি মদের বোতল পেয়েছেন।