পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভোট প্রচারে ফের সংখ্যালঘু টার্গেট! মোদি-শাহ-নাড্ডার পর এবার সেই পথেই হাঁটলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যোগী বলেন, নির্লজ্জ কংগ্রেসে লক্ষ্যই হল গোহত্যা করে সংখ্যালঘুদের মাংস খাওয়ার অধিকার দেওয়া। শুক্রবার মোরাদাবাদে বিলারিতে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী পরমেশ্বর লাল সাইনির হয়ে প্রচার সারেন তিনি। সেখানেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, যেখানে গরুকে মায়ের আসনে বসানো হয়, কংগ্রেসের উদ্দেশ্য হল সেই গরুদের কসাইদের হাতে তুলে দেওয়া। এই ধরনের ঘটনা কি ভারত মেনে নেবে? মোদির মতো সরাসরি ‘মুসলিম’ শব্দ ব্যবহার না করলেও ‘সংখ্যালঘু’দের কথাই বলতে চেয়েছেন যোগী। এমনটাই দাবি বিরোধীদের। তবে এখানেই থামেননি তিনি। মোদির সুরে তাল মিলিয়ে রোহিঙ্গা প্রশ্ন তুলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি।
যোগী বলেন, মহিলাদের সম্পত্তি কেড়ে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের বিলিয়ে দিতে চায় কংগ্রেস। এর আগে রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় বিজেপির সভায় মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সবার প্রথমে অধিকার মুসলিমদের। তাই সমীক্ষার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।’’ সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড় থেকে মোদি বলেন, ‘কংগ্রেসের নজর আপনার সম্পত্তির উপরে রয়েছে। ক্ষমতায় এলে এরা মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে। কাদের বিলিয়ে দেবে, তা আপনারা জানেন।’’ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ১৮ বছরের পুরনো এক ভাষণের উল্লেখ করে গত রবিবার প্রথমবারের মতো দুইটি ইঙ্গিতের মাধ্যমে ধর্মকে টেনে আনেন নরেন্দ্র মোদি।
সেখানে ‘মুসলমান’ শব্দ ব্যবহার না করেই মোদি বলেছিলেন, ‘যাদের বেশি সন্তান থাকে’ এবং ‘অনুপ্রবেশকারী’ – এই দুই শ্রেণীর মানুষকে কংগ্রেস অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে কংগ্রেস দাবি করছে, “মনমোহন সিং ২০০৬ সালের ভাষণে আসলে বলেছিলেন, ‘তফসিলি জাতি ও উপজাতি’দের পুনরুজ্জীবিত করা দরকার। সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলিমদের উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা যায়, যাতে উন্নয়নের সুফল পেতে পারে তারা। এজন্য আমাদের নতুন প্রকল্প আনতে হবে। এদের সকলেরই সম্পদের ওপরে প্রথম দাবি থাকা উচিত।” দেশের প্রায় ২০ কোটি মুসলিমদের মোদি কীভাবে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলতে পারেন, সে প্রশ্ন তুলেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা।’ এবার সেই সুরই শোনা গেল যোগীর গলায়।