পুবের কলম প্রতিবেদক, কেশপুর/বীরভূমঃ রামপুরহাটের অভিজ্ঞতা থেকে কেশপুরে নজর ঘোরাল পুলিশ। বালতির মধ্যে থেকে ৬৮টি তাজা বোমা উদ্ধার হল। শুক্রবার সকালে এলাকায় কেউ না কারা বোমাগুলি ফেলে রেখে যায়। সকাল থেকেই অভিযান চালিয়ে বম্ব স্কোয়াড সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে।
কেশপুরের ধলহারা এলাকায় একটি মাঠের পাশে ফাঁকা স্থানে স্থানীয় গ্রামবাসীরা শুক্রবার সকালে প্লাস্টিকের একাধিক বালতিতে বহু পেটো বোমা দেখতে পান। সবগুলি সক্রিয় ছিল। খবর দেওয়া হয় কেশপুর থানায়। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ধলহারার বড়ডাঙা গ্রামে গত তিনদিন ধরে অভিযান শুরু করেছিল বোমা উদ্ধারের জন্য। পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের চাপে শেষমেশ পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসীদের কেউ বা কারা এই বোমাগুলি গ্রামের প্রান্তে ফেলে যায় শুক্রবার ভোরে।
শুক্রবার সকাল থেকে বোমাগুলি পাহারা দিয়ে রেখে বম্ব স্কোয়াডকে ডাকে পুলিশ। বম্ব স্কোয়াড কর্মীরা বোমাগুলি সেখান থেকে সরিয়ে একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বিস্ফোরণ ঘটায়।
কেশপুর থানার ওসি অঞ্জনি কুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন, বোমাগুলি সক্রিয় ছিল।৬৮টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। আসলে কয়েক দিন ধরেই অভিযান চলছিল ওই গ্রামগুলিতে। তাই পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে এটা সম্ভবত কেউ ফেলে গিয়েছে। অভিযান চলবে কেশপুরজুড়ে।’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের ২১টি থানা এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে বীরভূমেও উদ্ধার হল তাজা বোমা। মাড়গ্রাম থানার ছোট ডাঙাল পাড়া গ্রামের ক্যানেল পাড় থেকে প্লাস্টিকের জারে ও এক বালতিতে আনুমানিক ষাটটির বেশি বোমা উদ্ধার করে মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার পুলিশ বোমা উদ্ধার করে বোমা গুলিকে প্রাথমিকভাবে জল দিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছে এবং বোম স্কোয়াডকে খবর দিয়েছে। বোমা উদ্ধারের ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কচুর বনের মধ্যে ছটি প্লাস্টিকের বালতিতে এবং জারে মজুত করে রাখা ছিল বোমাগুলি। সেগুলি প্রাথমিকভাবে জল দিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে এবং বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যে যে কোনও বেআইনি কাজ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। ওইদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থায় সামান্যতম ফাঁকফোকর থাকলে তা বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে বেআইনি অস্ত্রের কারবার রুখতে এবং যে কোনও ধরনের বেআইনি কাজ রোখার জন্য সমস্ত পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের বিশেষ অভিযান চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই রাজ্যজুড়ে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।