পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। এবার শোনা যাচ্ছে, কগনাইট নামক আরও এক স্পাইওয়্যারের নাম। প্রায় হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই নয়া স্পাইওয়্যার কিনতে উঠে পড়ে লেগেছে মোদি সরকার।
মনে করা হচ্ছে, নয়া এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফের বিরোধী নেতা, সমাজকর্মী ও সাংবাদিকদের মোবাইলে আড়ি পাতা হবে। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন। ব্রিটিশ দৈনিক ফিনান্সিয়াল টাইমস কয়েকদিন আগেই এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
সোমবার কংগ্রেস মিডিয়া চেয়ারম্যান পবন খেরা সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘মোদি সরকার কি এখন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি চালাতে নতুন স্পাইওয়্যার কিনেছে?’
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কারণেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিরোধীদের উপর নজরদারি চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পবনের। তাঁর অভিযোগ, ‘বিরোধী শিবির, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক অধিকার কর্মী, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন এবং গণতন্ত্রে রক্ষকের ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।’ ভারতীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক খোলনলচে পাল্টাতে কেন্দ্র এখন ৯৮৬ কোটি টাকা খরচ করতে পর্যন্ত রাজি হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের মিডিয়া চেয়ারম্যানের।
তিনি বলেন, নয়া ‘স্পাইওয়্যার’ দিয়ে বিজেপি বিরোধী দল, বেসরকারি সংস্থা,সংবাদমাধ্যম, নাগরিক অধিকারকর্মী, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করে এমন সংস্থাগুলির ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে মোদী ‘ম্যালওয়্যার’ এবং ‘স্পাইওয়্যার’ গুলিতে প্রচুর ব্যয় করেন। তা হলে দেশের জনগনের কাছে তিনি কেন বলতে পারেন না যে, আদানির ভুয়ো সংস্থাগুলির ২০ হাজার কোটি টাকার মালিক কে?’
পেগাসাস বিতর্কে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। অভিযোগ ওঠে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর-সহ বিরোধী শিবিরের তাবড় রাজনীতিক, বিশিষ্ট সমাজকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিকদের ফোনে আড়িপাতা হয়।
এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোনেও আড়িপাতা হয় বলে ওঠে অভিযোগ। আদালত পর্যন্ত গড়ায় সেই মামলা। সরাসরি অভিযোগ খারিজ না করে, সংসদে জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দেওয়া হয়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একই অভিযোগ উঠল।