পুবের কলম প্রতিবেদক: ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী নির্বাচন—রণকৌশল ঠিক করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট করে দিলেন, দল কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। দলনেত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেই অনুযায়ী সবাইকে চলতে হবে। আর ১০০দিনের কাজে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে বললেন, বাংলাই একমাত্র রাজ্য, যার সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। ঈদের পর ২৪ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে সই সংগ্রহ অভিযান।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। সেই উপলক্ষ্যে সোমবার জেলা সভাপতিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী কাকে করা হবে তা ঠিক হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। মনোনয়নের মাধ্যমে নয়।
অর্থাৎ, আগে যেভাবে প্রার্থী ঠিক হত, এবার সেভাবে হবে না। ২০১৮ সালের সঙ্গে চলতি বছরের পঞ্চায়েত ভোটের যে অনের ফারাক থাকবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। অভিষেকের কথায়, ‘পঞ্চায়েত প্রার্থী হবেন ইলেক্টেড সিলেক্টেড নয়’।
মানুষ যাকে চাইবে তাঁকেই প্রার্থী করা হবে। আর চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করবেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। কেমন হবে পঞ্চায়েত ভোট? প্রার্থীদের কীভাবে নির্বাচন করা হবে, তা নিয়েও রণকৌশল চূড়ান্ত করে দিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘গায়ের জোরে প্রার্থী নয়, মানুষ যাঁকে চাইবে তাঁকেই প্রার্থী করা হবে। প্রত্যেকে নাম পাঠান। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে নাম পাঠান। এমন অনেক নাম আমাদের কাছে এসেছে যাদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। দল তাদের প্রার্থী করবে না। আপনাদের থেকে প্রাপ্ত তালিকা আমরা নেত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন কাকে প্রার্থী করা হবে। পঞ্চায়েত করে খাওয়ার জায়গা নয়। ২০১৮ ও ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে অনেক পার্থক্য থাকবে।
বিধায়ক, সাংসদ বাছাইয়ের মতো করে পঞ্চায়েতে ভোট হবে। সব রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিকভাবে মনোনয়ন দেবে। লোকসভা, বিধানসভায় যেভাবে ভোট হয়েছে সেভাবেই ভোট হবে পঞ্চায়েতে। যেখানে বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারবে না, সেখানে প্রয়োজন হলে আমরা দাঁড়িয়ে থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া করাব।’
১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের বঞ্চনা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, বাংলাই একমাত্র রাজ্য যার সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। বিজেপি হেরে গিয়ে টাকা আটকে রেখেছে। ১০০দিনের কাজে বঞ্চিতদের চিঠি লিখতে হবে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীকে। প্রত্যেক বুথ থেকে প্রত্যেক অঞ্চল থেকে এই চিঠি লেখা হবে। অন্ততঃ দেড় কোটি সই নিয়ে দিল্লি অভিযান করা হবে। তাঁর ঘোষণা, ‘টাকা আদায় করেই ছাড়ব।’