পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ১৪ বছর পর ফের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয় রাজস্থান রয়্যালস। প্রথম আইপিএলের ফাইনালে সেই জয়ের কারিগর অবশ্যই ছিলেন অজি লেগস্পিনার প্রয়াত শেন ওয়ার্ন। তাই ১৪ বছর পর ফাইনালে উঠে সেই ওয়ার্নিকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে গোটা টিম।
গ্যালারির একপ্রান্তে একটা প্ল্যাকার্ড ঝুলছিল। যেটাতে শোভা পাচ্ছেন শেন ওয়ার্ন। ২০০৮সালে প্রথম আইপিএলে ওয়ার্নের হাত ধরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান। এরপর এবার আবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। তার প্রাক্কালে রাজস্থান সমর্থকরা স্মরণ করলেন, ‘দ্য ফার্স্ট রয়্যাল’।
এবারের আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার জস বাটলার। রাজস্থান রয়্যালসকে প্রায় একক হাতেই বলতে গেলে টেনে নিয়ে এসেছেন প্লে-অফ পর্যন্ত। অবশেষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তার ব্যাট থেকে বেরিয়ে এলো অসাধারণ সেঞ্চুরি। যার ওপর ভর করে বিরাট কোহলি-ফ্যাফ ডু প্লেসির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেলো রাজস্থান রয়্যালস।
১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলার একাই করলেন ১০৬ রান। তার এই অসাধারণ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ১১ বল হাতে রেখে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।
বাটলার এবারের আইপিএলে কী অসাধারণ ব্যাটিং করে যাচ্ছেন, তা শুধু তার একটু পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। এ নিয়ে এবারের আইপিএলে একাই চারটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ১৬ ম্যাচে ৫৮.৮৫ গড়ে রান করেছেন ৮২৪। স্ট্রাইক রেট ১৫১.৪৭। ৪টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ৪টি হাফ সেঞ্চুরি। নিঃসন্দেহে অরেঞ্জ টুপির (সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক) মালিক তিনি।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে এক ম্যাচে করেছিলেন ১১৬ রান। ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেললেন ১০৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে খেলেছেন ১০৩ রানের ইনিংস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে খেলেছেন ১০০ রানের ইনিংস। এবারের আইপিএলে মোট ৮টি সেঞ্চুরি হলো, এরমধ্যে এককভাবে চারটিই বাটলারের।
১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর জসওয়ালকে নিয়ে ৫.১ ওভারেই ৬১ রানের জুটি গড়ে তোলেন বাটলার। ১৩ বলে ২১ রান করে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে জসওয়াল আউট হয়ে যান। এরপর অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে ৫২ রানের জুটি গড়েন বাটলার। ২১ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন স্যামসন।
পাডিক্কাল ১২ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর শিমরন হেটমায়ারকে নিয়ে জয়ের জন্য বাকি কাজটা সেরে ফেলেন বাটলার। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে বিশাল এক ছক্কা মেরে রাজস্থানকে জয় এনে দেন ইংলিশ এই ব্যাটার। ৬০ বলে খেলা তার এই ইনিংস সাজানো ছিল ১০টি বাউন্ডারি এবং ৬টি বিশাল ছক্কায়।
এর আগে আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রজত পাতিদারের ৫৮ রানের ওপর ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।