পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: এসএসসি মামলায় নাটকীয় মোড়। মাঝরাতেই খুলল কলকাতা হাইকোর্ট। নথি নষ্টের আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, অবিলম্বে সিআরপিএফ বসিয়ে চাকরির সমস্ত নথি সংরক্ষণের করতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রাতেই শুরু হয় শুনানি। নজিরবিহীনভাবে রাতেই খুলল কোর্ট। জরুরি ভিত্তিতে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শুরু হয় শুনানি।
মামলাকারীদের আশঙ্কা, প্রভাবশালীরা যুক্ত থাকার তথ্য সামনে আশায় সমস্ত নথি ও প্রমাণ নষ্ট করে দেওয়ার হতে পারে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চেম্বারেই হয় শুনানি। ভার্চুয়ালি যোগ দেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। মামলার সঙ্গে যুক্ত হার্ড ডিস্ক সহ সমস্ত তথ্য সংরক্ষণের দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে বলেন, ইতিমধ্যে কারা কারা এসএসসি অফিসে গিয়েছিল তা সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখা হোক।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে এসএসসি-র সচিবকে সিসিটিভি ফুটেজ আনার নির্দেশ দিল আদালত। সিবিআই যেহেতু তদন্ত করছে, নথি ঠিক রাখতে সিআরপিএফ-এর সাহায্য নিতে পারে তারা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দুপুর ১টা পর্যন্ত এসএসসি অফিস ঘেরাও করে থাকবে। কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। একমাত্র সিবিআই আধিকারিকরা সেখানে যেতে পারেন।
আদালতের নির্দেশ, এখনই নির্দেশের কপি সিআরপিএফ-কে দেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার সকালেই মামলকারীরা কোর্টে আসতে পারেন। বিচারপতির চেম্বার থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসে ফোন করা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। রাত সাড়ে ১২টার পর এসএসসি অফিসে কেউ ঢুকতে পারবেন না।
রাত ২টো ৫০ মিনিটে সিআরপিএফ পৌঁছে যায় আচার্য সদনে। অভিযোগ, তাদের প্রথমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গেট বন্ধ ছিল। প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষার পর গেট টপকে ভিতরে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।