রেজাউল করিম-গণনাকেন্দ্রের বাইরে নেমে এসেছিল মিলন উৎসব। এমনই চিত্র জেলায় নজির তৈরি করেছে কালিয়াচকে। শাসক ও বিরোধী দলের কর্মী, সমর্থকরা পাশাপাশি আড্ডায় এদিন মেতে ওঠে। পরে একটির পর একটি দলের জয়ের খবর গণনা কেন্দ্রের বাইরে এসে পৌঁছতেই শুরু হয় বিজয়োল্লাস। চলে আবির মাখানোর পালা। ওই প্রাঙ্গণেই আবিরের সারি অস্থায়ী দোকান। তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে সারি সারি বসে আইসক্রিমের ঠেলা গাড়ি। দেদার বিক্রি এদিন।
দোকানিরা অল্প সময়ের মধ্যে দ্বিগুণ, তিন গুণ উপার্জন করে মহানন্দে বাড়ি ফিরে গেছেন। এমন চিত্র এদিন দেখা গেল কালিয়াচক-১ ব্লকের কালিয়াচক কলেজ প্রাঙ্গণ বাইরে সড়ক – মোড়ে । গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের ধ্যনিরিখে জেলায় সব থেকে বড় এই কালিয়াচক-১ ব্লক। এখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ৩২৮টি। বুথ ৩২২ টি। ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত। সংশ্লিষ্ট ব্লকের গণনা কেন্দ্র কালিয়াচক কলেজ।
স্বাভাবিকভাবে এখানে মানুষের জমায়েত অন্যান্য ব্লকের থেকে বেশি। আর এই জমায়েতকে ঘিরে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছিল এখানে। এক আইসক্রিম বিক্রেতা উত্তম প্রামানিক বলেন, ‘আমি ৫ বছর ধরে আইসক্রিম বিক্রি করছি। এই একটা দিন এখন পর্যন্ত পেলাম, কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রায় তিন গুণ উপার্জন করেছি। গোটা দিন আইসক্রিম ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে দিনান্তে আড়াই হাজারের মধ্যে উপার্জন হয়ে থাকে। কিন্তু আজকে দুপুরের মধ্যেই ৭ হাজার টাকা রোজগার করেছি। আমার মতো অন্যান্য বিক্রেতারাও তাই করেছেন।’
এদিকে কলেজ মোড়ে ৫০-৬০ টি অস্থায়ী আবিরের দোকান বসেছে। কেউ ভ্যান , কেউ বেঞ্চে কেউ বা মেঝেতে আবিরের পসার সাজিয়েছে। সেখানে লাল,সবুজ ও গোলাপি আবির দেদার বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলক সবুজ আবিরের বিক্রি বেশি। তারপর গোলাপি ও লালের। আবির বিক্রেতা সৈয়ব আক্তার ও রাহুল সেখ বলেন, ‘দেদার বিক্রি আবিরের। দোলের সময়ও এত আবির একদিনে বিক্রি হয় না। আমাদের কাছে ১০ কেজি আবিরের দাম ৪০০ টাকা। সব দোকানেই কমবেশি বিক্রি হয়েছে আবির।’
এসডিপিও সম্ভব জৈন বলেন, ‘কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এখানে নেই। জয়-পরাজয়ের মধ্যেও আমাদের এখানে যেন মিলন উৎসব নেমে এসেছিল। ’