চন্ডীগড় : চন্ডীগড়ের পুরভোটে মোক্ষম ধাক্কা খেল ক্ষমতাসীন বিজেপি। আর কয়েক মাস পরেই পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।তার আগে চন্ডীগড় পুরসভার ভোটের ফল ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। সিঁদুরে মেঘ দেখছে তারা। ২০১৬ সালে চণ্ডীগড় পুরসভার ২৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে জিতেছিল বিজেপি। এ বার ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে ৩৫ হলেও পদ্ম-শিবিরের ঝুলিতে এসেছে মাত্র ১২ টি আসন।যার অর্থ পঞ্জাব ভোটের আগে অ্যাসিড টেস্টে ডাঁহা ফেল মোদির দল। অন্যদিকে উল্কার গতিতে ধেয়ে এসেছে কেজরির দল আম আদমি পার্টি। বিজেপি জিতেছে ১২টিতে। কংগ্রেস ৮ এবং শিরোমণি অকালি দল ১টি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে।ভোটের ফল প্রকাশের পর টুইটারে কেজরিওয়াল লিখেছেন, ‘চণ্ডীগড়ের পুরভোট আম আদমি পার্টির এই জয় পঞ্জাবে পরিবর্তনের ইঙ্গিত।’ কেউই অবশ্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি।পাঁচ বছর আগেই ২০টি ওয়ার্ডে জয় পেয়ে চণ্ডীগড়ে পুরবোর্ড গঠন করেছিল বিজেপি। কিন্তু ৫ বছরের মধ্যেই উলটে গেল চিত্র।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে চণ্ডীগড়ের প্রাক্তন বিজেপি মেয়র রবিকান্ত শর্মা এবং দাভেস মুদগিল পরাজিত হয়েছেন। মুদগিল ৯৩৯ ভোটে হেরেছেন আপ প্রার্থীর কাছে। আর রবিকান্ত পরাজিত হয়েছেন ৮৮৮ ভোটে। ফলাফল আসার পরই স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত আপ নেতৃত্ব। এই জয় কেজরিওয়াল মডেলের জয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আপ নেতা রাঘব চাড্ডা। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ শিসোদিয়া বলেন, ‘আপ প্রথমবার পাঞ্জাবের পুরভোটে লড়াই করছে। প্রথমবারেই আমরা ভাল ফল করেছি। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। তাঁদের ধন্যবাদ।’ তবে কেজরিওয়ালের এই জয় নিসন্দেহে বিজেপির চেয়ে কংগ্রেসের কাছেই উদ্বেগের বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কৃষক আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে চেয়েছিল কংগ্রেস। এদিন যা প্রবলভাবে ধাক্কা খেয়েছে। পঞ্জাবে ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন দেখছিল কংগ্রেস। অথচ, কৃষকরা নতুন দল গড়ে পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধেই লড়ছে। পঞ্জাবে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে যে কেজরিওয়ালের দল থাবা বসাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।