নয়াদিল্লি, ৪ ডিসেম্বর: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আগাম সর্তকবার্তা দিলেন তামিলনাড়ু সরকার। সর্তক দিয়ে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়ির ভেতরে থাকতে হবে এবং বাড়ির ভেতরে থেকেই কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বাসিন্দাদের দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে এবং গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালাতে পারে বলেই মনে করছে প্রশাসন। সে মত বাসিন্দাদের খাদ্য সামগ্রী, জল এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সংগ্রহ করে রাখতে বলা হয়েছে সরকারের তরফে। ইতিমধ্যে চেন্নাই এবং পার্শ্ববর্তী তিনটি জেলায় স্কুল, কলেজ এবং সরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু এলাকা জম ঢুকেছে নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল দুপুরে নেলোর এবং মাছিলিপত্তমের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মৎস্যজীবীদের ৪ থেকে ৬ ডিসেম্বর গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
তামিলনাড়ু সরকার বেশকিছু ত্রাণশিবিরের ব্যবস্থা করেছে। ১২১টি আশ্রয়কেন্দ্রও প্রস্তুতি রেখেছে সরকার। পরিস্থিতি বেকড় হলে বাসিন্দাদের এই সমস্ত ত্রাণশিবিরে সরিয়ে আনা হতে পারে। জেলা শাসকদের নাগাপট্টিনম, তিরুভাল্লুর, কুদ্দালোর, চেঙ্গালপাট্টু এবং চেন্নাই জেলাগুলিতে বিশেষ নজরদারি করতে বলা হয়েছে। তিরুভাল্লুর, চেঙ্গলপাট্টু এবং চেন্নাই জেলার ১১টি ক্যাম্পে ৬৮৫ জনকে সরিয়ে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও ঝুকি না নিয়ে আগাম বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।