পুবের কলম প্রতিবেদকঃ হাওড়ার শরৎ সদনে ২০ জুলাই কুরআনের আলো ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল হিফজুল কুরআন কনফারেন্স। সারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাছাই করা কুরআন তিলাওয়াতকারী প্রতিযোগীরা গ্র্যান্ড ফাইনালের জন্য এসেছিলেন, সেইসঙ্গে শ্রোতা-দর্শকদের মধ্যে ছিলেন বহু প্রখ্যাত ক্বারী, মাদ্রাসার শিক্ষক, উলামা ও বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ্রা। আর মঞ্চেও ছিলেন বাংলা, অন্য রাজ্য এবং বিদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ক্বারী ও আলেমবৃন্দ।
এদের মধ্যে ছিলেন জনাব ক্বারী ইসমাইল বিসমিল্লাহ, মুফতি ইউসুফ বিসমিল্লাহ, আহমদ হাসান ইমরান, ক্বারী সানাউল্লাহ ভাগলপুরি, পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি, মাওলানা রওশন আলম, শায়খুল ক্বারী আবদুল হক, জনাব হাফেজ মাওলানা আবু ইউসুফ, জনাব মুফতি মনিরুজ্জামান প্রমুখ। আর সমস্ত কিছুর তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রধান আয়োজক মুফতি মুমতাজ।
উল্লেখ্য, এর আগে সারা বাংলা থেকে বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাওড়ার শরৎ সদনে তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ১০জনকে নিয়ে কুরআনের তিলাওয়াত প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। শরৎ সদন ছিল শ্রোতা-দর্শকে পরিপূর্ণ।
এই প্রতিযোগীতা সম্পর্কে মুফতি মুমতাজ বলেন, হাফিজ ও কুরআন শিক্ষার্থীদের আরও বিশুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াতের আগ্রহ বৃদ্ধির উদ্দেশে কুরআন ফাউন্ডেশন সারা বাংলা ব্যাপী এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমাদের লক্ষ্য, সারা ভারতে এই প্রতিযোগীতা শুরু করা। তাঁরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
উল্লেখ্য, জনাব আহমদ হাসান ইমরান কুরআন প্রেমিকদের এই সমাবেশকে সম্বোধন করে বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আজ শরৎ সদনে এক জান্নাতী পরিবেশ গড়ে উঠেছে। পশ্চিমবাংলায় কুরআন তিলাওয়াতের এই চর্চা বিভিন্ন জায়গা থেকে শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে মেমারি, ফুরফুরা, হাওড়ার কুরআনের আলো ফাউন্ডেশন এবং মাড়গ্রামের নিকটবর্তী এক মাদ্রাসা। ইমরান আরও বলেন, কুরআন আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের পথপ্রদর্শক।
আমাদের সমাজ পরিবার, ব্যক্তিজীবন সবকিছুই কুরআনের আলোতে পরিচালিত হয়। আর এই জন্য শুধু মাদ্রাসায় নয়, প্রত্যেক মুসলিম পরিবারে বাবা-মাকে ছেলেমেয়েদের কুরআনের শিক্ষা দিতে হবে। ইমরান বলেন, সহীহ হাদিসে রয়েছে পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াতকারী এবং কুরআনের বিধান মেনে চলা ব্যক্তির জন্য কুরআন কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে।
এই প্রতিযোগীতায় প্রথম পুরস্কার হচ্ছে এক লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা। পুরস্কার মূল্যের একাংশ শিক্ষকদেরও প্রদান করা হবে।