পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কলকাতায়। বৃহস্পতিবার সকালে তিলজলা থানার অন্তর্গত তপসিয়ার ফাইভ পি সাতগাছি ফার্স্ট লেনে আগুন লাগে। জানা গিয়েছে, মূলত জুতো ও রবার তৈরির কারখানায় সকাল ১০ টা বেজে ৫৮ মিনিট নাগাদ কালো ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। আবাসনটি ছিল ৪ তলার। গ্রাউন্ড ফ্লোরের কারখানায় আগুন লাগে। আবাসনের ওপরে মানুষজন বসবাস করত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পোঁছায় দমকল বাহিনী।
তড়িঘড়ি নিচে নামিয়ে আনা হয়, ওপরের তলার বাসিন্দাদের। কারখানার এক কর্মীর মতে, ‘এটি রবার কারখানা। আমরা রাতে কাজ করে শুয়ে ছিলাম। সকাল নাগাদ পোড়া গন্ধ পাই। ঘুম ভাঙতেই উঠে দেখি আগুন লেগেছে। দমকল এসে নিভিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, যে জায়গায় কারখানাটি অবস্থিত সেই জায়গাটি অত্যন্ত সরু এবং ঘিঞ্জি। পরপর গোডাউন ও দোকান রয়েছে। ফলে আগুন নেভাতে গিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েন দমকল কর্মীরা। এদিকে, দাউদাউ করে আগুন জ্বলে যাওয়ায় আতঙ্কে বেরিয়ে পড়েন সেখানে কর্মরত কর্মীরা। তবে দমকল কর্মীদের দু’ঘণ্টার প্রচেষ্টায় দুপুর ১ টা বেজে ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রথমে পৌঁছায় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। তবে, সর্বশেষ পাওয়া দমকল সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে মোট আটটি ইঞ্জিন পৌঁছায়। গোটা বিষয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর নেই। তবে, প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় বিধায়ক জাভেদ আহমেদ খান, কলকাতা পুরসভার মেয়ে তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এদিনের অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে ডিভিশনাল অফ ফায়ার অফিসার, সাউথ কলকাতা ডিভিশন, সুদীপ্ত বীট বলেন, ‘আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কীভাবে আগুন ধরেছে তা প্রাথমিক তদন্তের পর বলা যাবে। কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে আমাদের স্থানীয় বাসিন্দারাও অনেক সাহায্য করেছে।’
একইসঙ্গে, স্থানীয় বিধায়ক জাভেদ খান বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দমকল খুব দ্রুত আগুন নেভাতে সাহায্য করেছে। যেসময় আগুন ধরে গিয়েছিল তখন ভিতরে অনেকে ছিলেন। তবে আশপাশের লোকজন সকলে মিলে তাদের সেখান থেকে সরাতে সাহায্য করেছে।’
পাশাপাশি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘দমকল আধিকারিকরা ইনভেস্টিগেশন করে দেখবে। প্রয়োজনে রাজ্য সরকার পাশে থাকবে। এগুলো ছোটখাটো কারখানা ৫০-৬০ বছর ধরে রয়েছে। এখানে যারা কাজ করেন তারাই ওপরের ঘরগুলোতে বসবাস করেন। জুতো পেস্টিংয়ের কারখানা। অনেক বছর ধরে এনারা কাজ করে আসছেন। আদানি-আম্বানির মত এদের ট্রিট করলে হবে না’।