- হজ হাউসগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশকে।
- কলকাতা পুরসভা এবং বিধাননগর পুরনিগমের উপরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত জলের বন্দোবস্ত রাখতে।
- বিমানবন্দর পর্যন্ত হজযাত্রীদের পৌঁছে দিতে এসি বাসের ব্যবস্থা করবে পরিবহণ দফতর।
- নোডাল অফিসারকে গোটা বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় রাখার জন্য বলা হয়েছে নবান্নের তরফে।
- হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এসএসকেএম, বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের অন্তত দু‘টি বেডের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।
পুবের কলম প্রতিবেদক: ২১ মে থেকে শুরু হচ্ছে হজযাত্রা। দেশের অন্যান্য অংশের মতো পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বহু সংখ্যক মুসলিম হজের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হজের জন্য উড়ান ধরবেন তাঁরা। আর সেই উপলক্ষে এ রাজ্যের হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করল নবান্ন। ২১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত হজের জন্য রওনা দেবেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হজের জন্য বিমান ধরেন অসম, মিজোরাম, ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকটি পড়শি রাজ্যের মানুষও। সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজারের বেশি হজযাত্রী হওয়ার সম্ভাবনা এ বছর। হজযাত্রা নির্বিঘ্নে এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। হজযাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত রাখার জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বের বিভিন্ন দফতরের কর্তারা শনিবার নবান্নে বৈঠকে বসেন। উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হজ কমিটির প্রতিনিধিরাও। রাজ্যের পরিবহণ দফতর, কলকাতা পুরসভা ও বিধাননগর পুরনিগম, কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর পুলিশ, এয়ারপোর্ট অথরিটি কাস্টমস এনকেডিএ- সহ বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরাও ছিলেন ওই বৈঠকে।
এদিকে, চলতি মাসেই রমজান শেষে খুশির ইদ বা ইল-উল-ফিতরে মেতেছিল গোটা বিশ্ব। আরব দেশগুলির পাশাপাশি মহাসমারোহে উৎসব পালন করে ভারতীয় মুসলিমরাও। এরপরই সকলের প্রশ্ন, কবে পালিত হবে ঈদ? ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল বখরি ঈদ। ইসলামী ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ তথা শেষ মাসের দশম দিনে পালিত হয় এই বখরি ঈদ। খুশির ঈদের মতো এখানেও চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে বখরি ঈদের দিনক্ষণ। পবিত্র হজযাত্রা শেষে আসে বখরি ঈদ। ইসলামের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের মধ্যে হজ যাত্রাকেও অন্যতম বলে ধরা হয়। সে ক্ষেত্রে হজ শেষে জুনের ২৯ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে বখরি বা কোরবানির ঈদ পালিত হবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, হজ হাউসগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশকে। কলকাতা পুরসভা এবং বিধাননগর পুরনিগমের উপরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত জলের বন্দোবস্ত রাখতে। বিমানবন্দর পর্যন্ত হজযাত্রীদের পৌঁছে দিতে এসি বাসের ব্যবস্থা করবে পরিবহণ দফতর। নোডাল অফিসারকে গোটা বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় রাখার জন্য বলা হয়েছে নবান্নের তরফে। হজযাত্রীরা যাতে নির্দিষ্ট সময়ের আগে নির্বিঘ্নে বিমানবন্দরে পৌঁছে যেতে পারেন, তার জন্য যাবতীয় কোঅর্ডিনেশন করবেন নোডাল অফিসার। কোডিভ নিয়েও বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করছে রাজ্য। হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। প্রত্যেকের করোনা টিকা ঠিকঠাক নেওয়া রয়েছে কি না, তাও দেখতে বলা হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতাল, বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মতো সরকারি হাসপাতালগুলিতে ওই সময়ে হজযাত্রীদের জন্য অন্তত দুটি বেডের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।