পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতার মেট্রো সুড়ঙ্গে আর যাত্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না রেককে। হঠাৎ যদি বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে, তা হলে নয়া পদ্ধতির সাহায্যে মেট্রোর রেককে পরের স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যাবে। অর্থাৎ সুড়ঙ্গের মধ্যে আর দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না মেট্রোকে। কলকাতার মেট্রোতে চালু হচ্ছে বিশেষ পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা।
নোয়াপাড়া, শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল এবং যতীন দাস পার্ক; এই চারটি স্টেশনে সাবস্টেশনে বসানো হবে নয়া প্রযুক্তিতে। চার মেগাওয়াট চার কোয়াড্রেন্ট ইনভার্টার চালুর জন্য চলতি মাসের ১১ তারিখ একটি দরপত্র প্রকাশ করেছে কলকাতা মেট্রো।
ওই ইনভার্টারগুলিতে শক্তি সঞ্চয়ক উপাদান হিসাবে থাকবে লিথিয়াম আয়রন ফসফেট অথবা লিথিয়াম টাইটেনিয়াম অক্সাইড ।
ওই চারটি মেট্রো স্টেশনে এক মেগাওয়াটের ইনভার্টার বসানো হবে। এই ব্যবস্থার ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে, এমনকি যদি গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তা হলে সুড়ঙ্গে আর আটকে পড়বে না মেট্রোর রেক। ঘণ্টায় ১৫-২০ কিমি গতিতে মেট্রোর রেকটিকে পরের স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যাবে।
এই প্রযুক্তির সাহায্যে নিরাপদে যাত্রীদের মাঝ-সুড়ঙ্গ থেকে নিয়ে আসা যাবে। রাতে এলএফপি এবং এলটিও ব্যাটারিগুলি চার্জ দেওয়া যাবে।শুধু যাত্রী সুরক্ষাই নয়, মেট্রোর বিদ্যুৎ খরচেও সাশ্রয় হবে এই ব্যবস্থায়। ব্যস্ত সময়ে মেট্রো চালাতে ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।
বিইএসএস ব্যবস্থায় চার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা জোগাবে। ফলে ব্যস্ত সময়ে মেট্রো চালানোর জন্য কম পরিমাণে বিদ্যুৎ কিনতে পারবেন কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর খরচ অনেকটাই কমবে। মেট্রো চলাচালের ব্যস্ত সময়ে বছরে ২৫ লক্ষ টাকা সাশ্রয় করতে পারবে এই ব্যবস্থা। অন্য সময়ে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হয়।
মেট্রোয় আগুন লাগলেও এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগানো যাবে। সেক্ষেত্রে সুড়ঙ্গের মধ্যে বায়ু চলাচলের জন্য যে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের দরকার, তার ব্যবস্থা করা যাবে এই পদ্ধতিতে। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সুড়ঙ্গের মধ্যে মেট্রো আটকে পড়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। এর জেরে মেট্রো সফর ঘিরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। নতুন এই ব্যবস্থার ফলে সেই আতঙ্ক যেমন কাটবে যেমন,তেমনই যাত্রীদের সুরক্ষাও আরও জোরদার করা সম্ভব হবে।