বিধানসভার অন্দরে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন এক নজরে
আব্দুল ওদুদ: বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- কেন্দ্রের কর্মচারীরা কেন্দ্রের স্ট্রাকচার অনুযায়ী চলে। সেই অনুযায়ী বেতন পায়। তারা কেউ চাইলে ওখানে জয়েন করতে পারে। ভুলে গেছেন, বছরে তারা ৩-৪ দিন বাড়তি ছুটি পান। আমাদের এখানে যে ৪০ দিন ছুটি পান। এইটাও তো ভ্যালু অ্যাড করতে হবে। এই সরকারই একমাত্র বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে
- কোথাও দেখাতে পারবেন এসব? আমি ট্রেনের মান্থলি ইজ্জত চালু করেছিলাম। সেই ইজ্জত গেল কোথায় যে টাকা আপনারা পার্টি করে খরচ করেন তার ১ শতাংশ দিলে ১০০ দিনের কাজ হয়ে যায়
- আমার দলের লোকেরা ১ লক্ষ টাকা করে দিয়ে ৩০০০ লোক যারা দিল্লি গেছিল তাদের কিছু আর্থিক সাহায্য দিয়েছি
- যাদের অনেক পকেট ভর্তি তারা চিৎকার করে গোলমাল করছেন। অনেক বিধায়ক আছে যাদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, তাদের বিধায়কের টাকা নেওয়ার দরকার নেই। অনেকে আছেন খেতে রোজগার করে, পঞ্চায়েত মেম্বার আছে ১০০ দিনের কাজ করে খরচ তোলে। তাদের কথা তো বললেন না। তাদের জন্য আপনাদের হৃদয় কাঁদে না। একটা গরীব লোক দুটো বিড়ি খেলে চোর বলে চিৎকার করেন। যার কাছে আজ আছে ভুরি ভুরি তারা সাধু হয়ে গেছে। গেরুয়া পরলেই সাধু হয় না
- এই কটা টাকা বিধায়কের জন্য বাড়িয়ে ১ কোটি মাত্র খরচ হচ্ছে
- আজ আমরা বলছি ১ কোটি ১ লক্ষ কৃষকের জন্য আমরা ৮০০ কোটি টাকা রেডি করে রেখেছি
- মাটির বাড়ি ধসে যাচ্ছে, ১০০ দিনের টাকা দেয়নি এগুলো বললেন না। কেন্দ্র টাকা দেয়নি, কাজের সুযোগও দেয়নি
- ক্রিকেট থেকে ফুটবল সব গেরুয়া। মেট্রো রেল গেরুয়া। গ গ করতে করতে গেরুয়া হয়ে গেছে
- সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের রং গেরুয়া করতে বলছে। না হলে টাকা বন্ধ। জমিদারি করছে মনে হচ্ছে। আমি ইচ্ছে করলে মা মাটি মানুষ ব্র্যান্ড করতে পারতাম। পার্টির রং ব্র্যান্ড করতে পারতাম। করিনি তো? সিএম স্কিম করতে পারতাম। করিনি তো
- অন্য রাজ্যগুলিতে কত ভোটার? ২০, ৫০ হাজার। আমাদের কত? একেকটা কেন্দ্রে ১.৫, ২ লক্ষ। গোটা ইউরোপকে জুড়লে এটা হয়। ভুলভাল সেনসাস করেছে
- ১১ কোটি আমার স্বাস্থ্য সাথী। বাংলাদেশ কত? ১৫ কোটি। ওটা একটা দেশ। আমরা রাজ্য
- কাল যারা ইললিগাল মাইনিং করে বাঁচালো। আমি বলেছিলাম, এটা বন্ধ করো না। ইলিগ্যাল হলেও কাজে লাগল তো। কাল সেই কাজ করেই টুকটুক করে লোকগুলোকে বের করল। বিদেশিরা পারল না
- ২ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছে গত ২ বছরে। নতুন পে কমিশনের হিসাবে।
- আমার দলের লোকেরা ১ লক্ষ টাকা করে দিয়ে ৩০০০ লোক যারা দিল্লি গেছিল তাদের কিছু আর্থিক সাহায্য দিয়েছি
- শুধু এক শ্রেণীর লোক ফল খাবে আর বাকিরা রাস্তায় পড়ে থাকবে। ওরা শুধু অট্টালিকা বানাবে আর নিচের দিকে তাকাবে না। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, বিরোধীরা একটা মানুষের জন্য ভাবে না। দিল্লি গিয়ে বলে আসছে বাংলাকে টাকা দেবে না। কেন্দ্রের তহবিল বন্ধ।
- একমাত্র রাজ্য বাংলা সরকারি কর্মচারীদের পেনশন দেয়। অনেকে বলেছে বন্ধ করে দাও তাহলে সুদের টাকার পরিমাণ কমে যাবে। আমি বলেছি না, ৬০ বছর একটা লাইফ না। আরও ২০-৩০ বছর মানুষ বাঁচে। তারা সংসার চালাবে কীসে?
- দেখি বিজেপির কিছু ফেউ রয়েছে। তারা বিভাজনের কথা বলে। কিন্তু বাংলার কথা ভাবে না
- ভোটের সময় গ্যাসের দাম বাড়ায় আর প্রিপোল ভায়োলেন্স। বাংলার উপর দূর্বিচার করেছে, অনাচার করেছে। অপসংস্কৃতির কথা বলেছে
- কেউ যদি মনে করে আমি ক্ষমতায় আছি, হঠাৎ অ্যাসেম্বলি বাদ দিয়ে দিলাম, শান্তিনিকেতন থেকে robindronather নাম বাদ দিলাম, আলিগড়ের নাম…
- বলছে বিধায়কদের ৪০ হাজার টাকা বেড়েছে। তোমাদের তো ওই টাকা নস্যি খেতে লাগে
- অফিসারদের বলব, যাদের হয়ে কাজ করছেন, আগামীদিনে এরা থাকবে না। আমরা কিন্তু কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নেব
- এখন তো গয়না পরে বিয়ে বাড়িও যায় না
- ক্রিকেটে কী হয়েছে আমরা জানতে পারি। অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে, হঠাৎ নেই। সব বিজেপি ক্যাডারদের দিয়ে দিল। মানুষ পেল না। বাকি সব ব্যাটিং ফ্যাটিং, ব্যাটিং কী সব হল। আমি বুঝি না
- দেশ হেরেছে বলে দুঃখে বলছি। অস্ট্রেলিয়ান কোচ বলেছিল পিচে কী করেছে। তুকতাক করে রেখেছিল বলেই হেরেছে
- বিধায়কদের এই বিল সমর্থন করে বলি, এরা মুখে বলে কেন বাড়ানো হল। নেবার সময় প্রথম গিয়ে নেই। সিপিএম কে দেখতাম দিল্লিতে বলত, নেব না, পরের দিন দিল্লি চলে যেত
- সংগ্রাম করছে যারা জীবনে, মনে রেখো মানুষ প্রস্তুত হচ্ছে ঘরে ঘরে
- এইটুকু বাড়িয়েছি ৪০ হাজর টাকা। মানুষের কী হয়? চিকিৎসা করতেই কত চলে যায়
- আমি বাড়িয়েছি বেশ করেছি। সুযোগ পেলে আবার বাড়াবো