পুবের কলম প্রতিবেদক: এমনিতেই কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা কম নয়। বর্তমানে এখানে ১০টি বাঘ রয়েছে। কিন্তু এই বাঘ পরিবারে সুখবর দিতে পারছে না কেউই।
বাড়ছে না সংখ্যা। তাই ঝাড়খন্ডের রাঁচি থেকে বাঘ নিয়ে এসে প্রজননের ব্যবস্থা করতে চাইছে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এমনি এমনি অবশ্য এটা হবে না, বদলে রাঁচি চিড়িয়াখানাকে কাকাতুয়া উপহার দেবে আলিপুর। আলিপুর থেকে জোড়া সালফার ক্রেস্টেড কাকতুয়া যাবে রাঁচিতে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের তরফে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সব কিছু প্রায় ঠিকঠাক। এবার কেন্দ্রীয় জু অথরিটি সবুজ সংকেত দিলই কয়েক মাসের মধ্যেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় চলে আসবে নতুন সদস্যরা। এই শীতেই নাকি সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে শেষবার আলিপুর চিডিয়াখানায় বাঘের প্রজনন হয়েছিল। সাদা বাঘ অনির্বাণ ও হলুদ কালো ডোরা কাটা বাঘ কৃষ্ণার পরিবারের সেই বছর বিশাল নামে এক নতুন বাঘ এসেছিল। বিশালের বড় দিদি রূপার জন্মও হয়েছিল চিড়িয়াখানাতে। অনিবার্ণ মারা গিয়েছে। রূপার জন্য নন্দনকানন থেকে সুপাত্র ঋষিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ঋষির সঙ্গে এসেছিল পায়েল, স্নেহশিস ও শীলা।
এরই মধ্যে স্নেহাশিস ও শীলাকে উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ি সাফারি পার্কে মধুচন্দ্রিমায় পাঠিয়ে দেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। রূপার জন্য ঋষিকে এখানে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ঋষি ঘরজামাই হয়ে থাকলেও পাত্রীকে পাত্তা দিত না বলে খবর। যে কারণে ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গ থেকে স্নেহাশিসকে নিয়ে আসা হয়েছিল আলিপুরে। রূপা ও পায়েলের সঙ্গে তাকে রাখা হয়। স্নেহাশিসের সঙ্গেও রূপা ও পায়েলের ভাব জমেনি।
এ দিকে রূপা ও পায়েলের বয়স হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রজানন ক্ষমতা নেই বললেই চলে। তবে স্নেহাশিস এখনও জোয়ান। তার বয়স ৯ বছর। তবে পছন্দের সঙ্গী না থাকায় স্নেহাশিসও একাকীত্বে ভুগছে। তার এই একাকিত্য ঘোচাতে নতুন করে পাত্রীর সন্ধানে ছিল রাজ্য জু অথরিটি। স্নেহাশিসের জন্য রাঁচিতে নতুন পাত্রী মিলেছে। তাই সেখান থেকে একজোড়া বাঘ আসছে।