পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:অন্তর্বাস খুলে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ন্যাশানাল এলিজিটিবিটি টেস্ট দিতে বাধ্য করা হয় একদল ছাত্রীকে। কেরলের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা যায়। সেই পরীক্ষার্থীদের ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হল।শনিবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এই সিন্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে।
এনটিএ জানিয়েছে আগামী ৪ ঠা সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদেরও ইতিমধ্যেই এই সিন্ধান্তের কথা মেল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৭ জুলাই কেরলের কোল্লাম জেলার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠে এই অভিযোগ। পুলিশে অভিযোগ করেন এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন মহিলাদের অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। কেন খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল অন্তর্বাস। এই প্রশ্নের উত্তরে বলা হয় অন্তর্বাসে ধাতব হুক আছে। তবে পরীক্ষাকেন্দ্রে এমন কোন নির্দেশিকা ছিলনা যাতে বলা হয়েছিল অন্তর্বাস পরে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেননা। নিষিদ্ধ ছিল মানিব্যাগ, গহনা, বেল্ট, টুপি ইত্যাদি।
এই ঘটনার জল গড়ায় বহুদূর, তদন্তে নেমে পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করে। যদিও মারথোমা ইন্সটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে।
মনে করা হচ্ছে ওই পরীক্ষার্থীরা এই সিন্ধান্তে খুশিই হবেন। যথেষ্ঠ মানসিক চাপের মধ্যে ওই ছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে হয়। ফের আরও একবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ মেলায় ফলাফল আরও ভালো করার সুযোগ পেলেন তাঁরা। সেইদিন চরম অস্বস্তিতে পড়া পরীক্ষার্থীরা এনটিএ এর এই সিন্ধান্তকে স্বাগত জানাবেন জানাবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।