পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: জাতির জনক মহাত্মা গান্ধি মদ বিরোধী ছিলেন। মদ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। ঠিক সেই কারণেই ১৯৬০ সাল থেকে গুজরাতে নিষিদ্ধ করা হয় মদ। কিন্তু দীর্ঘ ৬৩ বছর পর সেই রীতিও ভেঙে দিল গুজরাতের বিজেপি সরকার।
গ্লোবাল বিজনেস ইকোসিস্টেমের নামে গুজরাত ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স টেক সিটি ( গিফ্ট সিটি) তে এবার থেকে মদ বিক্রি হবে। সেখানকার হোটেলে ‘ওয়াইন এন্ড ডাইন’ পরিষেবা চালু করে দিল রাজ্য সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই গিফ্ট সিটির হোটেল মালিক ও কর্মীদের লাইসেন্স দেওয়া হবে। তারা খাবারের সঙ্গে মদ পরিবেশন করতে পারবে।
বিতর্ক আঁচ করে, সরকার তাদের নির্দেশিকায় বলেছে, খাবারের সঙ্গে মদ মিললেও বোতলে করে তা বিক্রি করা যাবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, হোটেলে বসে যদি গ্লাসে করে মদ পানের সুযোগ পাওয়া যায়, তবে সেটা বোতলে পৌঁছাতে কতক্ষণ? তাছাড়া এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্যই বা কোথায়?
ব্যবসার নামে গুজরাতের প্রাচীন ঐতিহ্য কেন এভাবে নষ্ট করছে সেখানকার সরকার, তার ব্যাখ্যা মিলছে না। এই ঘটনার তীব্র বিরোধীতা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা মনিশ দোষী বলেন, যে সব রাজ্যে মদ সহজলভ্য সেখানকার মহিলাদের পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠেছে। মদ শুধু শরীর নয়, সামাজিক কাঠামোও নষ্ট করে। মদ চালু করে দিলে উন্নয়ন হয়, এর কোনও প্রমাণ মেলেনি। আর তা যদি হত, তাহলে যেসব রাজ্যে মদ বিক্রি হয়, সেগুলি উন্নতির শিখরে পৌঁছে যেত।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বিমান বন্দর, মেট্রোতে প্রকাশ্যে মদ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে যোগী সরকার। তার কড়া সমালোচলা করে বিজেপির পার্টি অফিসে মদ বিক্রির পরামর্শ দিয়েছিলেন অখিলেশ যাদব।