পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: লোকসভায় ৯৭ জন বিরোধী সাংসদের অনুপস্থিতিতে ফৌজদারি আইন সংস্কার বিল নিয়ে কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ যেন সুযোগের সদ্ব্যবহার৷ কেউ কেউ তো বলছেন, নির্ঝঞ্ঝাট কথা বলার জন্যই দুষ্টু পড়ুয়া তথা বিরোধীদের ‘কান ধরে বাইরে বের করে দিয়েছে হেডমাস্টার’৷ নতুন আইন মোদির চেতনার আইন, এমনটাই বলেছেন তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংবিধানকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেন বা দেখেন, সেই চেতনাই নাকি ফুটে উঠেছে নয়া আইনে৷
সংসদে দাঁড়িয়ে এদিন অমিত শাহ বলেন, আমরা রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কথা বলেছি। উদ্দেশ্য যদি সরকারের বিরোধিতা করা হয় তবে তাদের সাংবিধানিক স্বাধীনতা আছে। কিন্তু যদি তারা ভারতের ধারণার বিরোধিতা করে তবে তাদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। নতুন ফৌজদারি বিল সম্পর্কে শাহ আরও বলেন, শাস্তি নয়, লক্ষ্য হবে বিচার। নির্যাতিতের বিচার হবে মূল লক্ষ্য। প্রমাণভিত্তিক দ্রুত বিচার আদালতের বোঝা কমিয়ে দেবে এবং কারাদণ্ড কমবে। তিনি বলেন, আমি শুধু মূল ফৌজদারি কোডের প্রতিটি লাইনই পড়িনি, ১৫৮টি সাইটে প্রতিটি ফুলস্টপ এবং কমা পড়েছি। আমি নিজেই সব পড়ার পর নতুন বিল পেশ করছি৷ ‘হার ম্যাজেস্টি’র মতো শব্দগুলি স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও ব্যবহার করা হচ্ছিল। শাহের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের দাসত্বের লক্ষণ থেকে মুক্ত করেছেন। পুরোনো আইনটি হত্যা এবং মহিলাদের প্রতি অপরাধের চেয়ে সরকারি সম্পদ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল। এখন আমরা সেটাকে উল্টে দিয়েছি। আইন তৈরি করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদির অধীনে সংবিধানের চেতনা নিয়ে৷