পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লি মেট্রো। উঠতে গিয়ে মেট্রো দরজায় আটকে যায় এক মহিলার পোশাক। সেই অবস্থায় মেট্রো চলতে শুরু করে। মহিলাকে ২৫ মিটার টেনে নিয়ে যায় মেট্রো। বেসামাল হয়ে পড়ে যান ওই ৩৫ বছরের মহিলা। মৃতার নাম রীনা। যাত্রীরা অপারেটরকে ট্রেন থামাতে বলেন যাত্রীরা, কিন্তু ট্রেনটি থামানো হয়নি।
জানা গেছে, রীনা একজন সবজি বিক্রেতা। নাংলোই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার ১১ বছরের পুত্র ও ১৩ বছরের কন্যাসন্তান আছে। বেশ কয়েকবছর আগে তার স্বামী ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে, তিনি রেড লাইনের ইন্দ্রলোক মেট্রো স্টেশনে একটি ট্রেনের সাধারণ বগিতে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি তার ছেলের সঙ্গে একটি বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তার শাড়ি মেট্রোর দরজায় আটকে যায় এবং তিনি উঠতে পারেননি। এর পরে, ট্রেনটি চলতে শুরু করে এবং মহিলাকে প্রায় ২৫ মিটার প্ল্যাটফর্মে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে তিনি প্ল্যাটফর্ম ট্র্যাক অ্যাক্সেস গেটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। মাথায় এবং পিঠে গুরুতর আঘাত পান। ছেলেটি ট্রেনে ওঠেনি। আহত মহিলাকে অবিলম্বে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন এবং সিআইএসএফ কর্মকর্তারা তুলে নিয়ে দীপচাঁদ বন্ধু হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে পরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে লোক নায়ক হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এক সিআইএসএফ আধিকারিক জানান, রীনাকে আরএমএল হাসপাতালে এবং তারপরে সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে শনিবার তার মৃত্যু হয়। রবিবার ময়নাতদন্ত করা হবে। মেট্রো ট্রেনগুলি সেন্সর দেওয়া রয়েছে। নিশ্চিত করে যে কোনও ধরনের বাধা থাকলে দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যায়। কর্মকর্তা জানান, সেন্সরগুলি কাজ করেছে। তাহলে কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সিআইএসএফ অফিসার বলেছেন “প্ল্যাটফর্মের ভিতরে এবং বাইরে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ট্রেনের চালককে ট্রেন থামানোর জন্য সংকেত দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মহিলার শাড়ি আটকে থাকা অবস্থায় ট্রেনটি চলতে থাকে। ওপাশ থেকে আসা অন্য একটি মেট্রোর চালক ট্র্যাকের উপর তার দেহ দেখতে পেয়ে মেট্রো কর্মকর্তাদের খবর দেন।” ঘটনায় আভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি হবে বলে জানানো হয়েছে।