পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যত সময় এগোচ্ছে সংসদে স্মোক ক্যান কাণ্ড তত জটিল হচ্ছে। কি কারণে গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদে জঙ্গি হানার বর্ষপূর্তির দিনে এই কাণ্ড ঘটালো ধৃতরা তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই কাণ্ডের মাস্টারমাইণ্ড ললিত ঝাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে আগেই পুলিশ জানিয়েছিল, সংসদে হাঙ্গামা বাধানোর ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত।
পুলিশ সূত্রে খবর, ললিতের সঙ্গে কলকাতার যোগ পেয়েছে পুলিশ। ললিত পেশায় গৃহশিক্ষক। বড়বাজারে সে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এছাড়া বাগুইআটিতে এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াতেন। এছাড়াও গৃহশিক্ষকতা করতেন। এছাড়াও স্থানীয় বাচ্চাদের বাড়িতে গিয়ে পড়ানো ছাড়াও তার কাছে পাড়ার ছেলে-মেয়েরা পড়তে আসত। ইতিমধ্যে ললিতের সূত্র ধরেই নীলাক্ষ আইচ নামে এক কলেজ পড়ুয়ার হদিশ পায় পুলিশ। সংসদের ঘটনার দিন এই ললিত সংসদ কাণ্ডের ভিডিয়ো নীলাক্ষকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু নীলাক্ষর দাবি কি কারণে এই ভিডিয়ো ললিত তাকে পাঠিয়েছে সে জানে না। নীলাক্ষর আরও দাবি, সেই এনজিও চালায়। পুরুলিয়াতে সংগঠন। সেই সংস্থায় এই ললিত কিছুদিন কাজ করেছিল, আর তার সঙ্গে কিছু যোগাযোগ নেই।
এদিকে এবার আরও যুবকের নাম উঠে এল। তার নাম সায়ন পাল। তাদের সংগঠনের নাম সাম্যবাদী সুভাষ সভা। সেই সংগঠনের সদস্য ছিল এই ললিত ঝা। কিন্তু সায়নের দাবি, তাদের গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০০ । তাই এত মানুষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ সম্ভব নয়, আমি ললিত বলে কাউকে চিনি না। ললিত আমাদের সংস্থার সক্রিয় সদস্য ছিল না।
সায়ন আরও জানায়, আমাদের সংস্থার কাজ হল প্রত্যন্ত গ্রামে কোথায় শিশুরা পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, কারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে সেগুলি দেখা। সংস্থার মূল উদ্দেশ্য নেতাজীর কাজের তাৎপর্য তুলে ধরা সকলের কাছে। সায়ন, সংসদে ললিতের কাজের নিন্দা করে বলেন, ওই রকম একজন ব্যক্তির জন্য আমি চাই না, আমাদের সংস্থার ৫০০ সদস্য হেনস্থার মুখে পড়ুক।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৩ জুলাই কলকাতায় সাম্যবাদী সুভাষ একটি র্যালির আয়োজন করে। পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তারা সেই মিছিলের অনুমতি নেয় সংগঠন। কিন্তু সেই অনুমতি পত্রে একজন ভলেন্টিয়ার হিসেবে নাম রয়েছে ললিত ঝা ও সায়ন পালের। কিন্ত সায়নের দাবি, ললিতের সাইন ছিল না। গোটা ঘটনার খতিয়ে দেখছে পুলিশ।