পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: সংসদে স্মোক ক্যান নিয়ে কিভাবে ঢুকল দুই ব্যক্তি, এই প্রশ্নে বুধবার থেকে উত্তাল সংসদের দুই কক্ষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করায় অযাচিতভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে ১৪ সাংসদকে। কিন্তু নিরাপত্তায় এতবড় ঘাটতি রেখে কিভাবে এই প্রসঙ্গে চুপ থাকতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। শুক্রবার ১৪ সাংসদের সাসপেন্ডর প্রতিবাদে সংসদে বাইরে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
১৫ সাংসদকে সাসপেন্ড প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে খাড়গে লেখেন, গণতন্ত্রের মন্দিরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এখন সাংসদদেরকেই নিশানা করছে বিজেপি। নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা চাইতেই সাংসদদের সাসপেন্ড করা হল এটা আসলে সাংসদদের নয়, গণতন্ত্রের সাসপেনশন। কি দোষ করেছিল তারা? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে বলা কি অপরাধ? নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা চাওয়া কি অপরাধ? এভাবে সাসপেন্ড করা কি স্বৈরাচার নয়? প্রশ্ন তুলেছেন খাড়গে। শুক্রবার খাড়গে বলেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টিভিতে সাক্ষাতকার দিতে পারেন কিন্তু সংসদের ফ্লোরে বক্তব্য দিতে তিনি নারাজ। ইন্ডিয়া জোটের দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সংসদে বিবৃতি দিতে হবে তারপর সংসদের উভয় কক্ষে এই নিয়ে আলোচনার সুযোগ দিতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে সরব হওয়া আমাদের কর্তব্য। এটা আমাদের সংসদীয় কর্তব্য।
খাড়গেকে সমর্থন জানিয়ে শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ লেখেন, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা দাবি করছেন, বিজেপি সাংসদের দেওয়া পাস নিয়ে ১৩ ডিসেম্বর সংসদে অনুপ্রবেশের ঘটনার প্রেক্ষিতে লোকসভা ও রাজ্যসভায় মুখ খুলুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অথচ এই বিষয়ে কথাই বলতে চাইছেন না তিনি। তিনি মুখ খুলতে চাইছেন না বলেই আজ দুপুর ২ টো পর্যন্ত লোকসভা ও রাজ্যসভা মুলতুবি করা হয়েছে।