পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০০৭ সালের গ্যাংস্টার অ্যাক্ট মামলায় স্বস্তি পেলেন বিএসপি সাংসদ আফজল আনসারি।
গ্যাংস্টার মামলায় তার ৪ বছরের কারাদণ্ড ও সাজা স্থগিত করেছে শীর্ষ আদালত। আফজাল আনসারির সাজা স্থগিত হওয়ার পর তার সংসদ সদস্যপদ এখন পুনরুদ্ধার করা হবে। তিনি গাজিপুর থেকে বিএসপি সাংসদ ছিলেন। চলতি সংসদ অধিবেশনেও তিনি অংশ নিতে পারবেন। তবে এ সময়ের মধ্যে সংসদে ভোটগ্রহণ ও ভাতা গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এখন হাইকোর্টের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত গাজিপুর লোকসভা আসনে উপনির্বাচন হবে না। সুপ্রিম কোর্ট ইলাহাবাদ হাইকোর্টকে ৩০ জুন, ২০২৪ এর মধ্যে আফজাল আনসারির আবেদনের শুনানি শেষ করার এবং তার সিদ্ধান্ত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়ার বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। রায়ের পর আফজাল আনসারি জানান, আমি সুপ্রিম কোর্ট থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ১৪০ কোটি নাগরিকের আস্থা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আমি ন্যায়বিচারও পেয়েছি, এখন সাংসদ হয়ে আরও কাজ করতে পারব, নির্বাচনেও লড়তে পারব। আদালতের বিচারে আমি সন্তুষ্ট।
উল্লেখ্য, সাত মাস আগে, চলতি বছরের ১ মে গাজিপুরের বিএসপি সাংসদ আফজাল আনসারির লোকসভা সদস্যপদ বাতিল করা হয়। এরপর তাকে গ্যাংস্টার মামলায় গাজীপুরের এমপি/এমএলএ আদালত ৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সাজা ঘোষণার ৫৬ ঘণ্টা পর তার সাংসদ পদ চলে যায়। একই গ্যাংস্টার মামলায় আফজালের ভাই মুখতার আনসারিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৫ সালের নভেম্বরে বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই হত্যা এবং ১৯৯৭ সালে বারাণসীর ব্যবসায়ী নন্দ কিশোর রুংতাকে অপহরণ-হত্যার অভিযোগে ভাইদের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার অ্যাক্টের অধীনে মামলা করা হয়েছিল।
রাই হত্যা এবং ব্যবসায়ী নন্দ কিশোর রুংতাকে অপহরণ-হত্যার পর যে অগ্নিসংযোগ সংঘটিত হয়, তার উপর ভিত্তি করে মামলাটি দায়ের হয়। কৃষ্ণানন্দ রাই হত্যা মামলায় আদালত আনসারি ভাইদের বেকসুর খালাস দিলেও গ্যাংস্টার অ্যাক্টের এই মামলাটি এর সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।