বেঙ্গালুরু, ১৩ ডিসেম্বর: বেঙ্গালুরুর একাধিক জায়গায় এনআইএ হানা। বুধবার লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত থাকার অভিযোগে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। চার অভিযুক্তের বাড়ি সহ ছয়টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সন্দেহভাজন আরও দুজনের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে তদন্তকারীরা।
এনআইএ সূত্রে খবর, জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে বেঙ্গালুরুর মহম্মদ উমর, মহম্মদ ফয়সাল রব্বানি, তানভীর আহমেদ এবং মহম্মদ ফারুকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। এছাড়াও পলাতক জুনাইদ আহমেদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনআইএ। অভিযানে ডিজিটাল ডিভাইস, গুরুত্বপূর্ণ নথি সহ সাত লাখেরও বেশি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। মহারাষ্ট্র সহ অন্যান্য রাজ্যে বৃহত্তর ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসেবে বেঙ্গালুরুতে এই অভিযান চালানো হয়।
অন্যদিকে, সাতটি পিস্তল, চারটি বোমা, একটি ম্যাগাজিন এবং ৪৫টি লাইভ রাউন্ড সহ চারটি ওয়াকি-টকি সহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করার পরে একটি মামলা রুজু করেছে বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ। এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযানে এপর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত শুরু করার পরে ৬ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছিল এনআইএ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছে, মহম্মদ উমর, মহম্মদ ফয়সাল রব্বানি, তানভীর আহমেদ, মহম্মদ ফারুক এবং জুনায়েদ আহমেদ বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী থাকাকালীন এলইটি জঙ্গি এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত টি নাসিরের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। টি নাজির জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য ধৃতদের সংগঠনে নিয়োগ করেছিল। ধৃতরা জেলমুক্ত হওয়ার পর জুনাইদ ও টি নাসিরের নির্দেশে জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল।